Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের অপকীর্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরা রাজনৈতিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামো দুইকেই ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংকট-উত্তরণের পথ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই দখলদার সরকার। এই সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে, শীঘ্রই আমাদের আন্দোলন আরও বেগমান হবে। আমরা সব দল একত্র হতে পেরেছি। কীভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি কীভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি।

সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে। আমরা হয়ত তাদের জেগে ওঠাকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারি নাই। তবে, নতুন সূর্যোদয় হবেই সেখানে অবশ্যই আমাদের পৌঁছাতে হবে।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আসুন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করি। বিশেষ করে তরুণ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই সংগ্রাম শুধু বিএনপির একার নয়, এই সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে রক্ষা করার সংগ্রাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া। মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা হয়তো তাদের জেগে ওঠাকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারি নাই। তবে নতুন সূর্যোদয় হবেই, সেখানে অবশ্যই আমাদের পৌঁছাতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সংবাদপত্রকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং এটাই ছিলো জিয়াউর রহমানের ক্যারিশমা। জিয়াউর রহমানের রাজনীতি এই দেশের মানুষের রাজনীতি, বিএনপি’র রাজনীতি এই দেশের মানুষের রাজনীতি। যে কারণে এই দেশের মানুষ বিএনপির রাজনীতি ভুলবে না, জিয়াউর রহমানকে ভুলবে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমান্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলার আরো এক আসামী গ্রেফতার

গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের অপকীর্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরা রাজনৈতিক কাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামো দুইকেই ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সংকট-উত্তরণের পথ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রধান শত্রু হচ্ছে এই দখলদার সরকার। এই সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে, শীঘ্রই আমাদের আন্দোলন আরও বেগমান হবে। আমরা সব দল একত্র হতে পেরেছি। কীভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি কীভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি।

সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে। আমরা হয়ত তাদের জেগে ওঠাকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারি নাই। তবে, নতুন সূর্যোদয় হবেই সেখানে অবশ্যই আমাদের পৌঁছাতে হবে।

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আসুন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করি। বিশেষ করে তরুণ যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই সংগ্রাম শুধু বিএনপির একার নয়, এই সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে রক্ষা করার সংগ্রাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া। মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা হয়তো তাদের জেগে ওঠাকে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারি নাই। তবে নতুন সূর্যোদয় হবেই, সেখানে অবশ্যই আমাদের পৌঁছাতে হবে।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সংবাদপত্রকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং এটাই ছিলো জিয়াউর রহমানের ক্যারিশমা। জিয়াউর রহমানের রাজনীতি এই দেশের মানুষের রাজনীতি, বিএনপি’র রাজনীতি এই দেশের মানুষের রাজনীতি। যে কারণে এই দেশের মানুষ বিএনপির রাজনীতি ভুলবে না, জিয়াউর রহমানকে ভুলবে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সাইফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমান্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পার্টির চেয়ারম্যান নুরুল হক নুর প্রমুখ।