নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সংলগ্ন র্যাম্প (নামার রাস্তা) খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের র্যাম্প চালুর উদ্বোধন করেন। এই নিয়ে ১৬টি র্যাম্প চালু হচ্ছে।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের মো. মনজুর হোসেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার এফডিসি অংশের র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি রাজধানীবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার।
তিনি বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে যানবাহন চলানো যাবে না। এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এটা আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি।
বিমানবন্দর, বনানীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উঠে এ র্যাম্প দিয়ে নেমে যাওয়া যাবে কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, মগবাজার, মিন্টো রোডসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকার দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত গেছে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এই র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।
দক্ষিণ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। আজ বুধবার ১৬তম র্যাম্প হিসেবে এফডিসি অংশটি খুলে দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশ চালুর সূচনা হলো।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একটি পাবলিক প্রাইভেট প্রজেক্ট (পিপিপি)। এটি দেশের প্রথম দ্বিতল সড়ক। এই প্রজেক্টের ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার বহন করে। চায়না এক্সিম ব্যাংক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না এই ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
গত বছর ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর পরের দিন ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।