স্পোর্টস ডেস্ক :
জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত। এমন সমীকরণের ম্যাচে তানজিদ তামিমের সেঞ্চুরিতে ১৯২ রানের দারুণ ভিত পেয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাড়া করতে নেমে সে রান আর টপকানো হয়নি খুলনা টাইগার্সের। ৬৫ রানে হেরে গেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। এই জয়ের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেছে চট্টলার দলটির, অন্যদিকে কাগজে-কলমে না হলেও একপ্রকার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে খুলনার। শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে দিলেও তাদের চ্যালেঞ্জ জানাবে নেট রানরেট।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। বর্তমান সময়ে বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবে খ্যাতি পেলেও চট্টগ্রামের হয়ে অভিষেকে জ্বলে উঠতে পারেননি মোহাম্মদ ওয়াসিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ওপেনার ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। নাসুম আহমেদের টসড আপ ডেলিভারিতে স্লপ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ১ রানে।
তিনে নেমে তানজিদ তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন সৈকত আলী। তাদের দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তোলে চট্টগ্রাম। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য উইকেট হারায় তারা। জেসন হোল্ডারের লেংথ ডেলিভারিতে জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ রান করা সৈকত। এরপর তানজিদ তামিমকে সঙ্গ দেন টম ব্রুস।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। এরপর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তরুণ এই ওপেনার। পেয়ে যান এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখাও। হোল্ডারের বলে কভার পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন তিনি। তাতেই ৫৮ বলে ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ করেন তানজিদ তামিম। যা এবারের আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগের দুটি করেছেন তাওহীদ হৃদয় এবং উইল জ্যাকস।
সেঞ্চুরির পর আরও দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তানজিদ তামিম। তবে তাকে থামান ওয়েন পারনেল। বাঁহাতি এই পেসারের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হন ১১৬ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে ৩৬ রান করেন ব্রুস। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন পারনেল, নাসুম, হোল্ডার এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা করতে পারেনি খুলনার দুই ওপেনার। প্রথম দুই ওভারে ১২ রান করে খুলনা। তৃতীয় ওভারে গিয়ে তারা হারায় প্রথম উইকেট। ৮ বলে ৬ রান করে বিলাল খানের শিকার হন ৮ বলে ৬ রান করা পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর শাই হোপের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
৩৫ বলে ৫৪ রানের ওই জুটি ভাঙার পর আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি। ২৪ বলে ৩৫ রান করার পর শহিদুলের বলে রোমারিও শেফার্ড দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে বিজয়কে ফেরান। ওই ওভারেই ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান ৩ বলে ৬ রান করা লুইস।
এরপর দ্রুতই ফেরেন শাই হোপও। আগের বলে ছক্কা মারলেও পরের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দেন। খুলনার এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফেরেন ৩১ রানের ইনিংস খেলে। মাহমুদুল হাসান জয় ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকিরা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১৮ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। চট্টগ্রামের হয়ে শুভাগত হোম ৩টি উইকেট নেন।