Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনার দুই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সে পাত্তাই পেলো না রংপুর

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

খুলনা টাইগার্স শুরুটা ভালো পায়নি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দেশি ব্যাটাররাও ভালো করতে পারেনি। এনামুল-আফিফদের আসা-যাওয়ার দিনে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন এভিন লুইস, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং দাসুন শানাকা। নওয়াজ-শানাকা বোলিংয়েও পরে তোপ দেগেছেন। খুলনা টাইগার্সের দুই অলরাউন্ডারের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে পাত্তাই পেলো না রংপুর রাইডার্স।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রংপুর-খুলনা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে খুলনা। তাড়া করতে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে ১৩২ থামে রংপুরের ইনিংস। ২৮ রানের জয়ে হ্যাটট্রিক করলো এনামুল হক বিজয়ের দল। এই বিপিএলে প্রথমবার আগে ব্যাটিং করা কোনও দল জিতলো। ঢাকায় আট ম্যাচের সবগুলোতে পরে ব্যাটিংয়ে নামা দল জিতেছিল। সেই ধারা ভেঙে দিলো খুলনা। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা।

খুলনার দেওয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে রংপুরের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রনি তালুকদার ও বাবর আজম। লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন ওয়াসিম জুনিয়র। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বাবরকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন ওয়াসিম। আউট হওয়ার আগে ২ রান করেন বাবর।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন ব্রেন্ডন কিং। উইকেটে থিতু হবার আগেই ব্যাক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরে উইকেটে থিতু হওয়া রনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি দলীয় ৪৯ রানে ২৫ বলে ১৫ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে আশা দেখালেও ৩০ রানেই থেমেছেন শামীম পাটোয়ারী। দলীয় ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে থুকতে থাকা রংপুরকে শেষ দিকে মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। ২৪ বলে রংপুরে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬২ রান।

৮ বলে ১২ রান করে মাহেদী আউট হলে পর পর দুই বাউন্ডারি মেরে ক্যাচ আউট হন রিপন মন্ডল। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। এতে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই আফগান অলরাউন্ডার। পরের নবি আউট হলে ৮ বল হাতে রেখেই ১৩২ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। এতে ২৮ রানের জয় পায় খুলনা।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। একটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দ্বিতীয় ওভারেই শেখ মেহেদী হাসানের বলে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। গত ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি করলেও আজ ফিরলেন রানের খাতা খোলার আগেই। বিপরীতে খেলেছেন সাতটি বল।

এরপর রংপুরের বোলারদের ওপর এভিন লুইসের পাল্টা আক্রমণ। একপ্রান্তে লুইস চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাচ্ছিলেন, আরেক প্রান্তে আরও দুটি দ্রুত উইকেট হারায় খুলনা। ষষ্ঠ ওভারে ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কেও (৭) ফেরান মেহেদী। তারপর আফিফ হোসেনকে (৪) ফেরান হাসান মাহমুদ। দশম ওভারে লুইস ঝড়ও থামিয়েছেন এই পেসার। ২৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজের ৫৩ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক জুটিতে সেই বিপর্যয় সামলে ওঠে তারা। ১৯তম ওভারে এবারও রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন শানাকাকে। ৩৩ বলে ৪০ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার।

শানাকার মতো এবারের বিপিএলে নিজের শুরুটা রাঙিয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার নওয়াজও। ৩৪ বলে খেলেছেন ৫৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। মেরেছেন ৩টি ছক্কা ও ৪টি চার। ৭ রানে আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭ ও হাবিবুর রহমান সোহান ১ রানে অপরাজিত থাকেন। হাসান ২৯ রান দিয়ে ৩টি এবং ২০ রানের বিপরীতে ২টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী।

ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন শানাকা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খুলনার দুই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সে পাত্তাই পেলো না রংপুর

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

খুলনা টাইগার্স শুরুটা ভালো পায়নি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দেশি ব্যাটাররাও ভালো করতে পারেনি। এনামুল-আফিফদের আসা-যাওয়ার দিনে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন এভিন লুইস, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং দাসুন শানাকা। নওয়াজ-শানাকা বোলিংয়েও পরে তোপ দেগেছেন। খুলনা টাইগার্সের দুই অলরাউন্ডারের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে পাত্তাই পেলো না রংপুর রাইডার্স।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় রংপুর-খুলনা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে খুলনা। তাড়া করতে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে ১৩২ থামে রংপুরের ইনিংস। ২৮ রানের জয়ে হ্যাটট্রিক করলো এনামুল হক বিজয়ের দল। এই বিপিএলে প্রথমবার আগে ব্যাটিং করা কোনও দল জিতলো। ঢাকায় আট ম্যাচের সবগুলোতে পরে ব্যাটিংয়ে নামা দল জিতেছিল। সেই ধারা ভেঙে দিলো খুলনা। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা।

খুলনার দেওয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে রংপুরের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রনি তালুকদার ও বাবর আজম। লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন ওয়াসিম জুনিয়র। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বাবরকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন ওয়াসিম। আউট হওয়ার আগে ২ রান করেন বাবর।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন ব্রেন্ডন কিং। উইকেটে থিতু হবার আগেই ব্যাক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরে উইকেটে থিতু হওয়া রনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি দলীয় ৪৯ রানে ২৫ বলে ১৫ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে আশা দেখালেও ৩০ রানেই থেমেছেন শামীম পাটোয়ারী। দলীয় ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে থুকতে থাকা রংপুরকে শেষ দিকে মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। ২৪ বলে রংপুরে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬২ রান।

৮ বলে ১২ রান করে মাহেদী আউট হলে পর পর দুই বাউন্ডারি মেরে ক্যাচ আউট হন রিপন মন্ডল। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন নবি। এতে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন এই আফগান অলরাউন্ডার। পরের নবি আউট হলে ৮ বল হাতে রেখেই ১৩২ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। এতে ২৮ রানের জয় পায় খুলনা।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন দাসুন শানাকা। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। একটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দ্বিতীয় ওভারেই শেখ মেহেদী হাসানের বলে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। গত ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি করলেও আজ ফিরলেন রানের খাতা খোলার আগেই। বিপরীতে খেলেছেন সাতটি বল।

এরপর রংপুরের বোলারদের ওপর এভিন লুইসের পাল্টা আক্রমণ। একপ্রান্তে লুইস চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরাচ্ছিলেন, আরেক প্রান্তে আরও দুটি দ্রুত উইকেট হারায় খুলনা। ষষ্ঠ ওভারে ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কেও (৭) ফেরান মেহেদী। তারপর আফিফ হোসেনকে (৪) ফেরান হাসান মাহমুদ। দশম ওভারে লুইস ঝড়ও থামিয়েছেন এই পেসার। ২৫ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ৩৭ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকা ও মোহাম্মদ নওয়াজের ৫৩ বলে ৭৭ রানের দারুণ এক জুটিতে সেই বিপর্যয় সামলে ওঠে তারা। ১৯তম ওভারে এবারও রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন শানাকাকে। ৩৩ বলে ৪০ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার।

শানাকার মতো এবারের বিপিএলে নিজের শুরুটা রাঙিয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার নওয়াজও। ৩৪ বলে খেলেছেন ৫৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। মেরেছেন ৩টি ছক্কা ও ৪টি চার। ৭ রানে আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭ ও হাবিবুর রহমান সোহান ১ রানে অপরাজিত থাকেন। হাসান ২৯ রান দিয়ে ৩টি এবং ২০ রানের বিপরীতে ২টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী।

ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন শানাকা।