খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে (৫০) গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মহানগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব।
এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন ব্যক্তি এসে গুলি করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হতে পায়ের রগ কেটে দেয়।
দৌলতপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাহবুবের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ স্বজনরা।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, দুপুরে বাসার সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুবুর রহমান মোল্লা। এ সময়ে হেলমেট পরা অবস্থায় তিনজন একটি মোটরসাইকেলে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুর্বৃত্তরা তার দু’পায়ের রগ কেটে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে চারটি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
মাহবুবের স্ত্রী বিলাপ করে বলেন, আমি গুলির শব্দ শুনেছি। আমি চেচিয়েছি। কেউ আসেনি ওকে ধরতে। মটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসেছিল সন্ত্রাসীরা। কালো চেক চেক জামা পড়া একজন। যাওয়ার সময় গেটে গুলি করেছে। রাস্তায় গুলি করেছে গালি দিয়ে বলে কে আসবি আয়। কিছুদির ধরে ওকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছিল। আমি ওকে দুরে যেতে বলেছি অথবা আমাকে কথা বলতে দিতে বলেছি কিন্তু ও বলেছে আমি কারও ক্ষতি করিনি। আমার কেউ ক্ষতি করবে না। আর মরণ থাকলে তো হবে। আমি বলেছি এটা কোন কথা হয় না। সবার সব থাকবে আমার মেয়েদের কি হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে অবস্থান নেওয়ায় মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।