Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় মামলায় আসামি ১২০০

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ অগস্ট) রাতে লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মহানগরীর গল্লামারী মোড়ে মারধরের শিকার হয়ে সুমন ঘরামী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের আরও অন্তত ৩০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় মামলায় আসামি ১২০০

প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ অগস্ট) রাতে লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মহানগরীর গল্লামারী মোড়ে মারধরের শিকার হয়ে সুমন ঘরামী নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশের আরও অন্তত ৩০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।