Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় খালেক, বরিশালে খোকন

বরিশাল ও খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশ নির্বাচনের নৌকার প্রার্থিরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

সোমবার (১২ জুন) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয় এই দুই সিটিতে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী

এ নিয়ে তৃতীয়বার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরেছিলেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বর্তমানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।

এবারের নির্বাচনে কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটাররা ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, বরিশালে ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।

বরিশাল সিটিতে নৌকার বিজয়

বরিশালে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)।

৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

খুলনায় খালেক, বরিশালে খোকন

প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বরিশাল ও খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশ নির্বাচনের নৌকার প্রার্থিরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

সোমবার (১২ জুন) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয় এই দুই সিটিতে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী

এ নিয়ে তৃতীয়বার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরেছিলেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বর্তমানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।

এবারের নির্বাচনে কেসিসির মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোটাররা ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৭৩২টি কক্ষে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, বরিশালে ১২৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলে নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।

বরিশাল সিটিতে নৌকার বিজয়

বরিশালে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)।

৩০টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।