Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাওয়ার প্লেতে সুবিধা করতে পারলো না সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে তাদের ওই ঘাটতি পূরণ করলো জাকির হাসান ও রনি তালুকদারের জুটি। তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। ওই রান তাড়ায় নেমে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর শেষদিকে রোমাঞ্চ ছড়ালেও জয় পাওয়া হয়নি খুলনা টাইগার্স।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে খুলনাকে ৮ রানে হারিয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সিলেট। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হয় দলটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর হাল ধরেন উইলিয়ান বোসিস্টো ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজ-বোসিস্টো জুটি গড়েছে ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি। ১২ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ঘরানার এই জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। দুই ওভার না যেতেই বোসিস্টো ফিরেছেন রিস টপলির বলে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন বোসিস্টো।

মিরাজ, বোসিস্টো দুই ব্যাটারকে হারিয়ে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। যেখানে ১৫,১৬ এই দুই ওভারে খুলনা নিয়েছে ১৭ ও ১৩ রান। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে নাওয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেট নেওয়ার পর নাওয়াজকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন নাওয়াজ।

জিয়াউর রহমানও এরপর যখন রানআউট হয়ে ফেরেন, তখন খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। খুলনার এক-একটা উইকেট পড়তেই সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওঠে আনন্দের জোয়ার। শেষ ১৫ বলে ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে খুলনা আপ্রাণ চেষ্টা করে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। যার মধ্যে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিবকে ছক্কা মারেন অঙ্কন। তানজিম সাকিবের এই বলটি ছিল নো বল।

এক পর্যায়ে যখন ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুলনার সামনে, তখন রুয়েল মিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারেন রনি। ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিব ক্যাচ ধরতেই রুয়েলের বাঁধভাঙা উদযাপন। রনি আউট হওয়ার পরের বলে অঙ্কনও রানআউট হয়ে ফিরলে খুলনার জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় দলটি। রনি (৬ বলে ১৪ রান), অঙ্কনের (১৬ বলে ২৮ রান) দুই ক্যামিও ইনিংসও কাজে আসেনি। বোসিস্টোর ৪৩ রানই খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ। সিলেটের তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় ১৫ রানের মাঝে ২ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতা নামা জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ১০৬ রানের জুটি গড়েন রনি।

৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করা রনি ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর ৬ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে যান অ্যারন জোন্স। জিয়াউর রহমানের বলে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল অঙ্কন। জিয়া তার পরের বলেই জাকের আলীকে শূন্য রানে ফেরান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল ব্যাটে লেগে গড়িয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।

তবে জাকির হাসান ঝড় তুলে গেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে সিলেট ৫ উইকেটে হারিয়ে তোলে ১৮২ রান। আরিফুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২১ রানে। এবারের আসরের ৫ ম্যাচে জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ২২৬ রান, যা তাকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে তুলে এনেছে। পাঁচ ইনিংসে তিনটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

খুলনাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাওয়ার প্লেতে সুবিধা করতে পারলো না সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে তাদের ওই ঘাটতি পূরণ করলো জাকির হাসান ও রনি তালুকদারের জুটি। তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। ওই রান তাড়ায় নেমে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর শেষদিকে রোমাঞ্চ ছড়ালেও জয় পাওয়া হয়নি খুলনা টাইগার্স।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিএলের ম্যাচে খুলনাকে ৮ রানে হারিয়েছে সিলেট। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সিলেট। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ রানে পরিণত হয় দলটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর হাল ধরেন উইলিয়ান বোসিস্টো ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজ-বোসিস্টো জুটি গড়েছে ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটি। ১২ তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ঘরানার এই জুটি ভাঙেন রুয়েল মিয়া। দুই ওভার না যেতেই বোসিস্টো ফিরেছেন রিস টপলির বলে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪০ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন বোসিস্টো।

মিরাজ, বোসিস্টো দুই ব্যাটারকে হারিয়ে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। ষষ্ঠ উইকেটে এরপর ১৭ বলে ৩২ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। যেখানে ১৫,১৬ এই দুই ওভারে খুলনা নিয়েছে ১৭ ও ১৩ রান। ১৭ তম ওভারের প্রথম বলে নাওয়াজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেট নেওয়ার পর নাওয়াজকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তানজিম সাকিব। ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন নাওয়াজ।

জিয়াউর রহমানও এরপর যখন রানআউট হয়ে ফেরেন, তখন খুলনার স্কোর হয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। খুলনার এক-একটা উইকেট পড়তেই সিলেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ওঠে আনন্দের জোয়ার। শেষ ১৫ বলে ৪৫ রানের সমীকরণ মেলাতে খুলনা আপ্রাণ চেষ্টা করে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন। যার মধ্যে ১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে তানজিম সাকিবকে ছক্কা মারেন অঙ্কন। তানজিম সাকিবের এই বলটি ছিল নো বল।

এক পর্যায়ে যখন ৩ বলে ১০ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় খুলনার সামনে, তখন রুয়েল মিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারেন রনি। ডিপ কাভারে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম সাকিব ক্যাচ ধরতেই রুয়েলের বাঁধভাঙা উদযাপন। রনি আউট হওয়ার পরের বলে অঙ্কনও রানআউট হয়ে ফিরলে খুলনার জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থেমে যায় দলটি। রনি (৬ বলে ১৪ রান), অঙ্কনের (১৬ বলে ২৮ রান) দুই ক্যামিও ইনিংসও কাজে আসেনি। বোসিস্টোর ৪৩ রানই খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ। সিলেটের তানজিম সাকিব, রিস টপলি ও রুয়েল পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় ১৫ রানের মাঝে ২ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তৃতীয় উইকেটে ব্যাট হাতা নামা জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ১০৬ রানের জুটি গড়েন রনি।

৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করা রনি ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর ৬ বলে ৩ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে যান অ্যারন জোন্স। জিয়াউর রহমানের বলে শূন্যে লাফিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক মাহিদুল অঙ্কন। জিয়া তার পরের বলেই জাকের আলীকে শূন্য রানে ফেরান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল ব্যাটে লেগে গড়িয়ে গিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে।

তবে জাকির হাসান ঝড় তুলে গেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৪৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে সিলেট ৫ উইকেটে হারিয়ে তোলে ১৮২ রান। আরিফুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২১ রানে। এবারের আসরের ৫ ম্যাচে জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ২২৬ রান, যা তাকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে তুলে এনেছে। পাঁচ ইনিংসে তিনটি ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।