Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনাকে অনায়াসে হারিয়ে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত শুরু চিটাগংয়ের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম কিংস। চট্টগ্রাম পর্বের শুরুর দিনে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনদের প্রতিপক্ষ ছিল খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করে খুলনাকে ২০১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রান করলে ৪৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গড়বড় করে ফেলে খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় দলটি। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরে যান ডম শিবলি। এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। তবে এ জুটিও বড় হয়নি।

ব্যাত হাতে মাঠে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন মিরাজ। ৩ চার আর ১ ছয়ে মারকুটে এক ইনিংসেরই আভাস দিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক। তবে শরিফুল ইসলামের বলে মিঠুনের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। এদিকে দলীয় ৩০ রানে মিরাজ আউট হওয়ার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি নাইমও।

নাইম আউট হন ৭ বলে ৯ রান করে। দলীয় ৪২ রানেই নাইম ফেরার পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। ৮ বলে ১৯ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থামে ১৫৫ রানে। খুলনার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৩৭ রান করেন দারউইশ রাসুলি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারকুটে উসমান খানের উইকেট হারায় চিটাগং। ৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তানি ডানহাতি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটিতে করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। এই জুটিতেই বড় পুঁজির ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা।

২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ইমন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন ক্লার্ক। ৪৮ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ইংলিশ ব্যাটার।

শেষ দিকে মারকুটে খেলে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন শামীম হোসেন। যদিও আশানুরূপ খেলাটি দেখাতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ হন লং অনে। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ১০ বলে অপরাজিত ১১ রানে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে চিটাগং।

খুলনার হয়ে বল হাতে চমক দেখান দুই পাকিস্তানি; সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। চিটাগংয়ের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খুলনাকে অনায়াসে হারিয়ে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত শুরু চিটাগংয়ের

প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম কিংস। চট্টগ্রাম পর্বের শুরুর দিনে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনদের প্রতিপক্ষ ছিল খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করে খুলনাকে ২০১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রান করলে ৪৫ রানের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গড়বড় করে ফেলে খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় দলটি। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরে যান ডম শিবলি। এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের সঙ্গে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। তবে এ জুটিও বড় হয়নি।

ব্যাত হাতে মাঠে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন মিরাজ। ৩ চার আর ১ ছয়ে মারকুটে এক ইনিংসেরই আভাস দিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক। তবে শরিফুল ইসলামের বলে মিঠুনের গ্লাভসবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। এদিকে দলীয় ৩০ রানে মিরাজ আউট হওয়ার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি নাইমও।

নাইম আউট হন ৭ বলে ৯ রান করে। দলীয় ৪২ রানেই নাইম ফেরার পর আর কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। ৮ বলে ১৯ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থামে ১৫৫ রানে। খুলনার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৩৭ রান করেন দারউইশ রাসুলি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারকুটে উসমান খানের উইকেট হারায় চিটাগং। ৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তানি ডানহাতি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটিতে করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। এই জুটিতেই বড় পুঁজির ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা।

২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ইমন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন ক্লার্ক। ৪৮ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ইংলিশ ব্যাটার।

শেষ দিকে মারকুটে খেলে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন শামীম হোসেন। যদিও আশানুরূপ খেলাটি দেখাতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ হন লং অনে। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ১০ বলে অপরাজিত ১১ রানে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে চিটাগং।

খুলনার হয়ে বল হাতে চমক দেখান দুই পাকিস্তানি; সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। চিটাগংয়ের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি।