Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর একেবারে সন্ধিক্ষণে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ফ্যাসিস্ট সরকার, তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘকাল ধরে বেগম খালোদা জিয়া কারারুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হলেও পুরোপুরি তিনি অবরুদ্ধ এবং বন্দি আছেন।

তিনি বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থায় কারাগার থেকে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তিনি বারবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তৎকালীন সরকার সেটা শোনেনি এবং তার সুচিকিৎসা করেনি। পরবর্তীকালে তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে, সেখানেও তার কোনো সুচিকিৎসা হয়নি।

ফখরুল বলেন, আজকের তথাকথিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে দুই দিন থেকে ১০ টি চুক্তি করেছেন। একটা স্মারক চুক্তি করেছেন। এছাড়া, অনেকগুলো কারিগরি চুক্তি করেছেন। এগুলো দেখতে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। কিন্তু আমরা যে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনও চুক্তি হয়নি।

তিনি বলেন, উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের কথা পরিষ্কার… তিস্তার পানি ন্যায্য বণ্টন চাই। অভিন্ন সব নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন চাই। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধিকার। এই কথাগুলো বলতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা আজকে ভারতের কাছে সেবাদাসে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ভারত নয়, এই সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে পুরোটাই নতজানু হয়ে আছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, অথচ সরকার কিছুই বলে না। এই রকম নতজানু সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে।

এই সরকার সমগ্র দেশটাকে বিকিয়ে করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

আওয়ামী লীগ কখনোই ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি দাবি করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা বারবার ক্ষমতা দখল করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, মানুষের ন্যূনতম যে স্বাধীনতার অধিকার, তা কেড়ে নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভারতের কাছে তারা (সরকার) সেবাদাসে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু ভারত নয়, সমগ্র আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে তারা আজকে পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অর্থব নতজানু শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতে গিয়ে চুক্তি করেছেন, ১০টি চুক্তি করেছেন। চুক্তিগুলো আমরা দেখলাম, যে চুক্তিগুলো বেশিরগুলো বলা হচ্ছে, মোমোরেন্ডাম সই করেছেন, অনেকগুলো তারা চুক্তি করবেন, কারিগরি দল পাঠাবেন সেগুলো। কিন্তু আমাদের যে সমস্যাগুলোৃ আমরা যে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা আমরা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য, তাতে বিনিয়োগ করার জন্য ভারতবর্ষ প্রস্তাব করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দুর্নীতি কাহিনি বেরিয়েছে। সাবেক যে সেনাপ্রধান (আজিজ আহমেদ) তার দুর্নীতির কাহিনি বেরিয়েছে। আবারো কয়েকজন পুলিশের দুর্নীতি কাহিনি বেরিয়ে আসছে। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম যে, গত পরশু পুলিশের অ্যাসোসিয়েশন থেকে একটা স্ট্যাটমেন্ট দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে হুমকি দিয়ে যে, এই সত্য (পুলিশের দুর্নীতির খবর) প্রকাশ করা যাবে না। কারণ এতে নাকি তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। আজকে সারাদেশের মানুষ জানে, সারা পৃথিবী জানে যে, পুলিশ বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য তারা কীভাবে এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজস করে তারা বিত্ত-বৈভবের একটা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয়, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধবংস করছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার দায় তাদেরকেই নিতে হবে যারা এসবের সাথে জড়িত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই যে আওয়ামী লীগ সরকার তারা দাবি করে যে, নির্বাচিত সরকার, তারা কোনোমতেই নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসে না। সম্পূর্ণভাবে একটা প্রহসনের নির্বাচনের তামাশা করে জোর করে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের একে একে সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, বিচারব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং মানুষের যে বেঁচে থাকবার ন্যূনতম অধিকারগুলো সেই অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার একটা অবৈধ সরকার, তারা সমস্ত দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কেন্দ্র্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর একেবারে সন্ধিক্ষণে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ফ্যাসিস্ট সরকার, তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীর্ঘকাল ধরে বেগম খালোদা জিয়া কারারুদ্ধ হয়ে রয়েছেন। সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হলেও পুরোপুরি তিনি অবরুদ্ধ এবং বন্দি আছেন।

তিনি বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থায় কারাগার থেকে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তিনি বারবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তৎকালীন সরকার সেটা শোনেনি এবং তার সুচিকিৎসা করেনি। পরবর্তীকালে তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে, সেখানেও তার কোনো সুচিকিৎসা হয়নি।

ফখরুল বলেন, আজকের তথাকথিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে দুই দিন থেকে ১০ টি চুক্তি করেছেন। একটা স্মারক চুক্তি করেছেন। এছাড়া, অনেকগুলো কারিগরি চুক্তি করেছেন। এগুলো দেখতে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। কিন্তু আমরা যে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনও চুক্তি হয়নি।

তিনি বলেন, উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের কথা পরিষ্কার… তিস্তার পানি ন্যায্য বণ্টন চাই। অভিন্ন সব নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন চাই। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধিকার। এই কথাগুলো বলতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা আজকে ভারতের কাছে সেবাদাসে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ভারত নয়, এই সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে পুরোটাই নতজানু হয়ে আছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, অথচ সরকার কিছুই বলে না। এই রকম নতজানু সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে।

এই সরকার সমগ্র দেশটাকে বিকিয়ে করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

আওয়ামী লীগ কখনোই ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসেনি দাবি করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে তারা বারবার ক্ষমতা দখল করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, মানুষের ন্যূনতম যে স্বাধীনতার অধিকার, তা কেড়ে নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভারতের কাছে তারা (সরকার) সেবাদাসে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু ভারত নয়, সমগ্র আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে তারা আজকে পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অর্থব নতজানু শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতে গিয়ে চুক্তি করেছেন, ১০টি চুক্তি করেছেন। চুক্তিগুলো আমরা দেখলাম, যে চুক্তিগুলো বেশিরগুলো বলা হচ্ছে, মোমোরেন্ডাম সই করেছেন, অনেকগুলো তারা চুক্তি করবেন, কারিগরি দল পাঠাবেন সেগুলো। কিন্তু আমাদের যে সমস্যাগুলোৃ আমরা যে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা আমরা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য, তাতে বিনিয়োগ করার জন্য ভারতবর্ষ প্রস্তাব করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দুর্নীতি কাহিনি বেরিয়েছে। সাবেক যে সেনাপ্রধান (আজিজ আহমেদ) তার দুর্নীতির কাহিনি বেরিয়েছে। আবারো কয়েকজন পুলিশের দুর্নীতি কাহিনি বেরিয়ে আসছে। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম যে, গত পরশু পুলিশের অ্যাসোসিয়েশন থেকে একটা স্ট্যাটমেন্ট দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে হুমকি দিয়ে যে, এই সত্য (পুলিশের দুর্নীতির খবর) প্রকাশ করা যাবে না। কারণ এতে নাকি তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়। আজকে সারাদেশের মানুষ জানে, সারা পৃথিবী জানে যে, পুলিশ বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য তারা কীভাবে এই অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজস করে তারা বিত্ত-বৈভবের একটা দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয়, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধবংস করছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার দায় তাদেরকেই নিতে হবে যারা এসবের সাথে জড়িত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই যে আওয়ামী লীগ সরকার তারা দাবি করে যে, নির্বাচিত সরকার, তারা কোনোমতেই নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসে না। সম্পূর্ণভাবে একটা প্রহসনের নির্বাচনের তামাশা করে জোর করে শুধু রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।

ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের একে একে সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, বিচারব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে, মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং মানুষের যে বেঁচে থাকবার ন্যূনতম অধিকারগুলো সেই অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার একটা অবৈধ সরকার, তারা সমস্ত দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কেন্দ্র্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।