Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আর করণীয় কিছু নেই : স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। কাজেই সেখানে আমাদের আর কিছু করণীয় নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন পাওয়ার পর পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তাদের মতামতের জন্য। কারণ এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার পক্ষে আসেনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে তারা আমাদের সিদ্ধান্ত জেনে গেছে। এর বাইরে তারা আরও কিছু জানতে চাইলে সেটিও জানানো হবে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’— বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্টে তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে না। একটি অঘটন ঘটলে তার বিচার হয়… আপনারা সবসময় এমনটা দেখে আসছেন। আমাদের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আপনারা যেটা ইঙ্গিত করছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে মতামত দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে অন্তর্ভুক্তদের তালিকা আপনারা পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ধরনের তালিকা পাইনি। আমাদের কাছে কোনো নাম, যাদের তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা দেবে না, সেটা আমাদের কাছে আসেনি। যেগুলো বলা হচ্ছে সেগুলো মনে হয় সবই অতিরঞ্জিত, সত্যি ঘটনা নয় এগুলো।

বলা হচ্ছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি আছে যুক্তরাষ্ট্রে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের সংবাদ নেই। আমরা শুনি, আমাদের কাছে প্রমাণ আসেনি। আমরা তো শুনি সবারই আছে। অনেকের আছে। ব্যবসায়ীদের আছে, সাংবাদিক ভাইদেরও আছে। পুলিশের শুনতেছি থাকতে পারে। সবারই আছে। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেকের যাওয়ার জায়গা, বাসস্থানের জায়গা। এজন্য অনেকে হয়তো গিয়েছেন, বাড়ি করেছেন। তাদের দেশের আইন মেনে যদি তারা করতে পারেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোর্স অব মানির জবাব তারা দেবেন। এটা তো সরকার জবাব দেবে না। তারা জবাব দেবেন সে দেশের সরকারকে। আমাদের দেশ থেকে যদি নিয়ে যায়, সরকার খতিয়ে দেখবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের তালিকা অনলাইন প্লাটফর্মে ভেসে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, কাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হচ্ছে তেমন কোনো তালিকা আমাদের কাছে আসেনি। এগুলোর সত্যতাও নেই বলে মনে হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্ডার ওয়ার্ল্ড সক্রিয় হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারা আন্ডার ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছিল, বাংলা ভাইয়ের জন্মদাতা কারা, কারা হাত-পায়ের রগ কেটে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করেছিল। সেগুলো আপনারা সবাই জানেন। তারা যদি আবার বিশ্বাস করে সেই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রত করবে, তবে সেটা তাদের ভুল ধারণা। সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে চলে, জনগণ যতক্ষণ সরকারের পক্ষে থাকবে ততক্ষণ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে কেউ সুবিধা পাবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আর করণীয় কিছু নেই : স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে। কাজেই সেখানে আমাদের আর কিছু করণীয় নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন পাওয়ার পর পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তাদের মতামতের জন্য। কারণ এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার পক্ষে আসেনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই বলে আমি মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে তারা আমাদের সিদ্ধান্ত জেনে গেছে। এর বাইরে তারা আরও কিছু জানতে চাইলে সেটিও জানানো হবে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।

এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’— বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্টে তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে না। একটি অঘটন ঘটলে তার বিচার হয়… আপনারা সবসময় এমনটা দেখে আসছেন। আমাদের আইন ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কিছুই করার নেই। আপনারা যেটা ইঙ্গিত করছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে মতামত দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে অন্তর্ভুক্তদের তালিকা আপনারা পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ধরনের তালিকা পাইনি। আমাদের কাছে কোনো নাম, যাদের তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা দেবে না, সেটা আমাদের কাছে আসেনি। যেগুলো বলা হচ্ছে সেগুলো মনে হয় সবই অতিরঞ্জিত, সত্যি ঘটনা নয় এগুলো।

বলা হচ্ছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি আছে যুক্তরাষ্ট্রে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের সংবাদ নেই। আমরা শুনি, আমাদের কাছে প্রমাণ আসেনি। আমরা তো শুনি সবারই আছে। অনেকের আছে। ব্যবসায়ীদের আছে, সাংবাদিক ভাইদেরও আছে। পুলিশের শুনতেছি থাকতে পারে। সবারই আছে। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেকের যাওয়ার জায়গা, বাসস্থানের জায়গা। এজন্য অনেকে হয়তো গিয়েছেন, বাড়ি করেছেন। তাদের দেশের আইন মেনে যদি তারা করতে পারেন। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোর্স অব মানির জবাব তারা দেবেন। এটা তো সরকার জবাব দেবে না। তারা জবাব দেবেন সে দেশের সরকারকে। আমাদের দেশ থেকে যদি নিয়ে যায়, সরকার খতিয়ে দেখবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগের তালিকা অনলাইন প্লাটফর্মে ভেসে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, কাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হচ্ছে তেমন কোনো তালিকা আমাদের কাছে আসেনি। এগুলোর সত্যতাও নেই বলে মনে হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্ডার ওয়ার্ল্ড সক্রিয় হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারা আন্ডার ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছিল, বাংলা ভাইয়ের জন্মদাতা কারা, কারা হাত-পায়ের রগ কেটে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করেছিল। সেগুলো আপনারা সবাই জানেন। তারা যদি আবার বিশ্বাস করে সেই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রত করবে, তবে সেটা তাদের ভুল ধারণা। সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে চলে, জনগণ যতক্ষণ সরকারের পক্ষে থাকবে ততক্ষণ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে কেউ সুবিধা পাবে না।