Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে : কায়সার কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে, তার পর আদালতে আবেদন করতে হবে- আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামত খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ঙ্কর তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রোববার (১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কায়সার কামাল বলেন, আজকের এই সিদ্ধান্তে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলেই নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিতে পারে।

তিনি বলেন, আজ অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন– যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, তাহলে বিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার ভাই গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল আমরা আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

এর আগে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটা খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সে নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রান্জেকশন। এটি খোলার আর কোনো উপায় নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে : কায়সার কামাল

প্রকাশের সময় : ০৬:৩১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে, তার পর আদালতে আবেদন করতে হবে- আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামত খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ঙ্কর তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রোববার (১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কায়সার কামাল বলেন, আজকের এই সিদ্ধান্তে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দেশে আইনের শাসন নেই। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ভয়ংকর তামাশা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলেই নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিতে পারে।

তিনি বলেন, আজ অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাজবন্দিদের মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করানোর নজির আছে। সরকারের সিদ্ধান্ত জাতির প্রতি একটি নিকৃষ্টতম প্রতারণা।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আইনমন্ত্রী পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছিলেন– যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, তাহলে বিবেচনা করা হবে। তার এই পাবলিক স্টেটমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার ভাই গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন আইনগতভাবে বিবেচনা না করে রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল আমরা আজকের এ সিদ্ধান্তের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

এর আগে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী জানান, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটা খোলার আর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আইনের ৪০১ ধারায় কোনো দরখাস্ত যদি একবার নিষ্পত্তি করা হয়, সে নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আর আইনে থাকে না। ঠিক সেই ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার উপধারা ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ব্যাখ্যা করে আমরা আমাদের মতামত পাঠিয়ে দিয়েছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে আমরা মতামত দিয়েছি, ৪০১ ধারার ক্ষমতাবলে যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, সেটি পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রান্জেকশন। এটি খোলার আর কোনো উপায় নেই।