নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্যপ্রয়াত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন সব পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ সংসদ ভবনে আনা হবে। আনার সময় পুরো রাস্তার দু’পাশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আনা হবে মরদেহ। জানাজা, দাফন সব পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টা, বিএনপি নেতাসহ কূটনীতিকরা থাকবেন। সংসদ, বাংলাদেশের দূতাবাস, বিএনপির পার্টি অফিসে শোক বই খোলা হবে। জানাজা, দাফন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। কিছু জায়গায় সেনাবাহিনী থাকবে।
শফিকুল আলম জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার থেকে সংসদ ভবনে নেওয়া এবং জানাজা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীরা কাভার করতে পারবেন। কিন্তু দাফনের সময় সব গণমাধ্যমের এক্সেজ থাকবে না, শুধু বিটিভি থাকবে।
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তার দাফন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ সভায় বসেন উপদেষ্টারা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফম খালিদ হোসেন; আইন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ নজরুল; নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন; সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী; স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, পানি সম্পদ এবং তথ্য উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায়, ফজরের নামাজের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সবার কাছে দোয়া চাইছি।’
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এ সময় হাসপাতালে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















