Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার খাবারে কিছু মেশানো হয়েছে কি না সন্দেহ : রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বেগ জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে মহিলা স্বাভাবিকভাবে জেলখানায় গেলেন। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন? জেলখানায় তার খাবারের মধ্যে সরকার কোনো কিছু মিশিয়েছে কি না এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দেহ প্রকাশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভী বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মূত্যু নিয়েও কিন্তু একটা রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন ১৫ই আগস্টের প্রাক্কালে তিনি মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকে? এটা নিয়ে অনেকেই বলছেন। একটা সন্দেহ তো দানা বাঁধেই। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী হঠাৎ করে সুস্থ মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন। তাহলে এটা কি শঙ্কার উদ্রেক করবে না? রহস্যের উদ্রেক করবে না? সুতরাং আমরা আজ শঙ্কিত। যিনি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক তাকে তো সহ্য করবে না।

তিনি বলেন, যে ডাক্তাররা তার ফাঁসির জন্য স্লোগান দিয়েছেন, তাদেরকেই নিয়োজিত রাখা হয়েছিল তার চিকিৎসার জন্য। এটা কি সন্দেহ করার কারণ হতে পারে না?

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আজ তিনি জীবন যন্ত্রণায় ভুগছেন।

রিজভী বলেন, আমরা দেখলাম খালেদা জিয়াকে যখন কারাগারে নেওয়া হয় তখন তিনি কতটা স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন? সরকার কারাগারের মধ্যে তার খাবারের মধ্যে কোনো কিছু মিশিয়েছেন কি না এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দিহান।

‘আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানের চেষ্টা করা হচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আপনাকে ক্ষমতায় আনা এবং রাখার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। আপনি তো জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা যেন সুষ্ঠু ভোটে অংশ নিতে না পারে। একতরফা নির্বাচন করার জন্য, নিশিরাতের ভোট করার জন্য কত ষড়যন্ত্র করছেন সেটা কি জনগণ জানে না? আপনি নিজেই ষড়যন্ত্রকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী আপনার মুখে এই কথা শুনলে জনগণের অট্টহাসি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

বেগম জিয়াকে সরকারের টার্গেট করার কারণ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যারা বাংলাদেশকে নতজানু করতে চায়, যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন করতে চায় তারা বেগম জিয়াকে সহ্য করবে কেন? এ কারণে তাদের প্রভুদের দিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে একটা স্বৈরাচারী শাসনের মাধ্যমে আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে মিথ্যা মামলার রায় দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচন করবে, তারা জাতীয় বেইমান। পরে তিনি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বেগম জিয়া কিন্তু করেননি। এটাই বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য।

রিজভী বলেন, একদিকে পুলিশ আরেকদিকে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যেও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বৈরাচারের গুলিতেও পিছু হটে না। খালেদা জিয়া নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে নিরলস নেতৃত্ব দিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন। তার এই ভূমিকা গোটা জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন। যে নেতা জনগণের কাছে ওয়াদা পূরণ করে তাকে জনগণ কখনো ভুলে না। এটার দৃষ্টান্ত বেগম জিয়া।

তিনি বলেন, আল্লাহ আপনি বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন। তাকে সুস্থ রাখুন। আপনি তাকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন। আসুন একট চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

পরে তিনি ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেরানীগঞ্জ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমাদের আচরণ যেন আওয়ামী লীগের মতো না হয় : ড. মঈন খান

খালেদা জিয়ার খাবারে কিছু মেশানো হয়েছে কি না সন্দেহ : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বেগ জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে মহিলা স্বাভাবিকভাবে জেলখানায় গেলেন। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন? জেলখানায় তার খাবারের মধ্যে সরকার কোনো কিছু মিশিয়েছে কি না এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দেহ প্রকাশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভী বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মূত্যু নিয়েও কিন্তু একটা রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন ১৫ই আগস্টের প্রাক্কালে তিনি মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকে? এটা নিয়ে অনেকেই বলছেন। একটা সন্দেহ তো দানা বাঁধেই। দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী হঠাৎ করে সুস্থ মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন। তাহলে এটা কি শঙ্কার উদ্রেক করবে না? রহস্যের উদ্রেক করবে না? সুতরাং আমরা আজ শঙ্কিত। যিনি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক তাকে তো সহ্য করবে না।

তিনি বলেন, যে ডাক্তাররা তার ফাঁসির জন্য স্লোগান দিয়েছেন, তাদেরকেই নিয়োজিত রাখা হয়েছিল তার চিকিৎসার জন্য। এটা কি সন্দেহ করার কারণ হতে পারে না?

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আজ তিনি জীবন যন্ত্রণায় ভুগছেন।

রিজভী বলেন, আমরা দেখলাম খালেদা জিয়াকে যখন কারাগারে নেওয়া হয় তখন তিনি কতটা স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন? সরকার কারাগারের মধ্যে তার খাবারের মধ্যে কোনো কিছু মিশিয়েছেন কি না এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দিহান।

‘আমাকে ক্ষমতা থেকে সরানের চেষ্টা করা হচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আপনাকে ক্ষমতায় আনা এবং রাখার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। আপনি তো জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা যেন সুষ্ঠু ভোটে অংশ নিতে না পারে। একতরফা নির্বাচন করার জন্য, নিশিরাতের ভোট করার জন্য কত ষড়যন্ত্র করছেন সেটা কি জনগণ জানে না? আপনি নিজেই ষড়যন্ত্রকারী, গণতন্ত্র হত্যাকারী আপনার মুখে এই কথা শুনলে জনগণের অট্টহাসি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

বেগম জিয়াকে সরকারের টার্গেট করার কারণ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যারা বাংলাদেশকে নতজানু করতে চায়, যারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন করতে চায় তারা বেগম জিয়াকে সহ্য করবে কেন? এ কারণে তাদের প্রভুদের দিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে একটা স্বৈরাচারী শাসনের মাধ্যমে আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে মিথ্যা মামলার রায় দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচন করবে, তারা জাতীয় বেইমান। পরে তিনি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বেগম জিয়া কিন্তু করেননি। এটাই বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য।

রিজভী বলেন, একদিকে পুলিশ আরেকদিকে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যেও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বৈরাচারের গুলিতেও পিছু হটে না। খালেদা জিয়া নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে নিরলস নেতৃত্ব দিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন। তার এই ভূমিকা গোটা জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন। যে নেতা জনগণের কাছে ওয়াদা পূরণ করে তাকে জনগণ কখনো ভুলে না। এটার দৃষ্টান্ত বেগম জিয়া।

তিনি বলেন, আল্লাহ আপনি বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন। তাকে সুস্থ রাখুন। আপনি তাকে মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন। আসুন একট চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

পরে তিনি ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেরানীগঞ্জ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।