নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন, অপেক্ষা আর না-বলা কষ্টের পর অবশেষে দেশের মাটিতে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর আবেগ আর অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে প্রতিটি মুহূর্তে। বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই জুতা খুলে খালি পায়ে মাতৃভূমির মাটি ছুঁলেন তারেক রহমান। পরে তিনি হাতে তুলে নেন এক মুঠো মাটি। প্রিয় স্বদেশের স্পর্শে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিমান থেকে নেমে পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় বিমানবন্দরের সামনে এসে জুতা খুলে খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন তারেক রহমান।

দলীয় সূত্র জানায়, বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর হঠাৎ তিনি সামনে থাকা একটি ফুলবাগানের ভেতরে চলে যান। সেখানে ঘাস ও কিছু গাঁদা ফুলের গাছ ছিল। সেখানেই জুতা খুলে খালি পায়ে দেশের মাটিতে দাঁড়ান তিনি। পরে নিচু হয়ে মাটি হাতে নেন এবং এক দলা মাটি পরম মমতায় নেড়েচেড়ে দেখেন।
এর আগে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমান প্রথমে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি কুশল বিনিময় করেন তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর সঙ্গে। এ সময় মেয়ের জামাইকে গোপাল ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।
বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর লাল ও সবুজ রঙের বিশেষ বুলেট প্রুফ বাসে করে তারেক রহমান ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, যা ৩০০ ফিট রোড নামেও পরিচিত; সেটি অতিক্রম করে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।
এদিকে, বিমানবন্দরে বহু মানুষ, বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে তারেক রহমানের বাসকে হাত নেড়ে স্বাগত জানান। এছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 


















