Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালাস পেয়ে যা বললেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। খালাস পেয়ে তিনি বললেন, শুকরিয়া, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আসিফ হোসেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, এক এগারোর সময় এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত ১০ বছরের সাজা দেন। পরে হাইকোর্ট খালাস দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। পুনরায় শুনানির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন রিভিউ করেন। সেই রিভিউ আদালত মঞ্জুর করেন। এরপর তিনি আপিল করেন। আজ সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় একই সালের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন। মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই খালাস পান মামুন। পরে এ মামলায় আপিল বিভাগে যায় দুদক।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।

২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। পরে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিন তিনি কারাগার থেকে জামিনে বের হন।

সম্পদের তথ্য গোপন করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। তিনি বললেন ‘শুকরিয়া, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন ফিদা এম কামাল, আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আসিফ হোসেন।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় একই সালের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে। মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই খালাস পায় মামুন। পরে এ মামলায় আপিল বিভাগে যায় দুদক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

খালাস পেয়ে যা বললেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। খালাস পেয়ে তিনি বললেন, শুকরিয়া, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আসিফ হোসেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, এক এগারোর সময় এ মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত ১০ বছরের সাজা দেন। পরে হাইকোর্ট খালাস দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। পুনরায় শুনানির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন রিভিউ করেন। সেই রিভিউ আদালত মঞ্জুর করেন। এরপর তিনি আপিল করেন। আজ সেই আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে হাইকোর্টের খালাসের রায় বহাল।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় একই সালের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন। মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩শ ৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই খালাস পান মামুন। পরে এ মামলায় আপিল বিভাগে যায় দুদক।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলা থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দেয় হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।

২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন। পরে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিন তিনি কারাগার থেকে জামিনে বের হন।

সম্পদের তথ্য গোপন করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। তিনি বললেন ‘শুকরিয়া, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন ফিদা এম কামাল, আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আসিফ হোসেন।

২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় একই সালের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে। মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ বিচারিক আদালত মামুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই খালাস পায় মামুন। পরে এ মামলায় আপিল বিভাগে যায় দুদক।