Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাম খেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে : ড. মঈনুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেছেন, খাম খেয়ালিপনার কারণে দেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতি বিপদে পড়ার আরেকটি বড় কারণ একের পর এক মেগা-প্রজেক্টের হিড়িক।

শনিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা: সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।

ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার থেকে এ বছর আরো ১ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ হবে এই খাতে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত কমতে কমতে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে গেছে যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বড় সড় বাধা হয়ে যাচ্ছে।

বেনজির ইস্যু তে ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পেছনে দুজন মাস্টারমাইন্ড ছিল। তার মধ্যে একজন হচ্ছে বেনজির আহমেদ ও আরেক জন প্রয়াত হোসেন তৌফিক ইমাম। এর মধ্যে বেনজীর বর্তমান সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তিনি পুরো পুলিশ প্রশানকে এভাবে অপব্যবহারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, সেটা কি সরকারের জানা ছিল না। সরকার কি এর সুবিধা ভোগ করেনি। এখন তাকে আমরা টার্গেট করেছি তাই ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। এরাই ১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে।

এসময় বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমাদের ডলার সংকটের মূল্য দিচ্ছে জনগণ। মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। এই বাড়তি কর জনগণ দিচ্ছে। সংসার চলেনা মানুষের। এখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পার্টি বড় পদের লোক। বেনজির ও আজিজ দুইজনের চরম আগ্রাসন দেখলাম, এখন দেখা যাবে দুদক কি করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খাম খেয়ালিপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে : ড. মঈনুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থনীতিবিদ ড. মঈনুল ইসলাম বলেছেন, খাম খেয়ালিপনার কারণে দেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনীতি বিপদে পড়ার আরেকটি বড় কারণ একের পর এক মেগা-প্রজেক্টের হিড়িক।

শনিবার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা: সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি।

ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার থেকে এ বছর আরো ১ বিলিয়ন ডলার বেশি খরচ হবে এই খাতে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত কমতে কমতে ৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে গেছে যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান মারাত্মক রাজনৈতিক সংকট অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে বড় সড় বাধা হয়ে যাচ্ছে।

বেনজির ইস্যু তে ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পেছনে দুজন মাস্টারমাইন্ড ছিল। তার মধ্যে একজন হচ্ছে বেনজির আহমেদ ও আরেক জন প্রয়াত হোসেন তৌফিক ইমাম। এর মধ্যে বেনজীর বর্তমান সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তিনি পুরো পুলিশ প্রশানকে এভাবে অপব্যবহারের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন, সেটা কি সরকারের জানা ছিল না। সরকার কি এর সুবিধা ভোগ করেনি। এখন তাকে আমরা টার্গেট করেছি তাই ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। এরাই ১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে।

এসময় বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমাদের ডলার সংকটের মূল্য দিচ্ছে জনগণ। মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। এই বাড়তি কর জনগণ দিচ্ছে। সংসার চলেনা মানুষের। এখন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত পার্টি বড় পদের লোক। বেনজির ও আজিজ দুইজনের চরম আগ্রাসন দেখলাম, এখন দেখা যাবে দুদক কি করে।