Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

২০২২ সালের বন্যায় জামালগঞ্জ যাওয়ার সড়কটি ভাঙার পর কয়েক বার সরকারি অর্থ খরচ করে লোক দেখানো সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোন সময়েই সঠিকভাবে কাজ হয়নি এবং যানচলাচলের উপযোগী হয়নি। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে জরুরি কাজেও জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে ভয় করে। কারণ প্রায়ই এই সড়কে উজ্জ্বলপুর ও ঘাগটিয়া গ্রামের কাছের ভাঙায় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হয়। এই সড়কে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

ভাঙাচুরা-খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থা ও যাত্রীদের দুর্ভোগ এভাবেই বর্ণনা করছিলেন, জামালগঞ্জের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও নোয়াগাঁও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান।

জানা যায়, ভাঙাচুরা-খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সুনামগঞ্জের কাঠইর থেকে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার ও জামালগঞ্জ থেকে গজারিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কের ছোট গর্তগুলো বিশাল আকারে রূপ নিয়েছে। এই সড়কটি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ কিলোমিটার, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৩ কিলোমিটার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় মোট ২৫ কিলোমিটার। সড়কের স্থানে স্থানে ভাঙাচোরা-গর্ত থাকার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার তিন উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কপথে জামালগঞ্জের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ উপজেলার অনেক গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। জেলা সদরের সাথে ধর্মপাশা উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ধর্মপাশার লোকজনও এই সড়কে সুনামগঞ্জ ও সিলেট যাতায়াত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরকারি এম্বুলেন্স, থানার গাড়ি, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িগুলো সুরমা নদীর ওপারে সাচনা বাজারে রাখা হচ্ছে। সড়কের দুর্ভোগের কারণে অধিকাংশ মানুষ এই সড়ক পরিহার করে সুরমা নদী পার হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে সাচনাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করে জেলা সদরে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের জামালগঞ্জ উপজেলার রুপাখালী, নোওয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, ঘাগটিয়া, উজ্জ্বলপুরের ভাঙাসহ তেলিয়া-শাহাপুর হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের মধ্যে অসংখ্য খানাখন্দ। এছাড়া জামালগঞ্জ সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ হয়ে গজারিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ও কাঠইর থেকে নোয়াগাঁও বাজার পর্যন্ত সড়কের অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার আগে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় জামালগঞ্জের উজ্জ্বলপুর অংশে বিশাল ভাঙনের সৃষ্টি হলে সারাদেশের সাথে জামালগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এলজিইডি কয়ে বার কাজ করলেও পুরোপুরি মেরামত হয়নি সড়কটি। ভাঙাচুরা-খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙায় কয়েক ধাপে ৫১ লাখ টাকা, শাহপুর অংশের গর্ত মেরামতে ৫ লাখ টাকা, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনের এইচবিবি রাস্তা মেরামতে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ইট সলিংয়ে ৫ লাখ টাকা ও সেলিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তা মেরামতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইমার্জেন্সি মেইনটেন্যান্সের (জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ) নামে এই সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু টেকসই কাজ হয়নি।

জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে এই সড়কের অবস্থা খারাপ। জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নাম করে বিগত সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এডিপি ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে দুইটি ধাপে ৫১ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু জনগণের উপকারে আসেনি। সড়ক ভাঙ্গাচোরার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে লাখো মানুষ। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর বলেন, জামালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার সড়কটির বেহাল অবস্থা। হাসপাতালের এম্বুলেন্সটি এক বছর ধরে সুরমা নদীর ওপারে সাচনা বাজারে রাখছি। রোগীদের সুরমা নদী পার করে সাচনাবাজারে নিয়ে এম্বুলেন্সে তোলতে হয়। সড়কটি যদি ভাল থাকত তাহলে, হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরাসরি সদর হাসপাতাল বা সিলেটে স্থানান্তর করা যেত।

এলজিইডির সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের নোয়াগাঁও বাজার থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রাক্কলন এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন ভাঙা অংশের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ টাকার প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। যানচলাচলের উপযোগী রাখতে সড়কের গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খালেদার খোঁজ নিতে ফিরোজায় যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

২০২২ সালের বন্যায় জামালগঞ্জ যাওয়ার সড়কটি ভাঙার পর কয়েক বার সরকারি অর্থ খরচ করে লোক দেখানো সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোন সময়েই সঠিকভাবে কাজ হয়নি এবং যানচলাচলের উপযোগী হয়নি। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে জরুরি কাজেও জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে ভয় করে। কারণ প্রায়ই এই সড়কে উজ্জ্বলপুর ও ঘাগটিয়া গ্রামের কাছের ভাঙায় গাড়ি উল্টে যাত্রীরা আহত হয়। এই সড়কে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

ভাঙাচুরা-খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থা ও যাত্রীদের দুর্ভোগ এভাবেই বর্ণনা করছিলেন, জামালগঞ্জের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও নোয়াগাঁও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান।

জানা যায়, ভাঙাচুরা-খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সুনামগঞ্জের কাঠইর থেকে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত এই সড়কের দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার ও জামালগঞ্জ থেকে গজারিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কের ছোট গর্তগুলো বিশাল আকারে রূপ নিয়েছে। এই সড়কটি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ কিলোমিটার, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৩ কিলোমিটার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় মোট ২৫ কিলোমিটার। সড়কের স্থানে স্থানে ভাঙাচোরা-গর্ত থাকার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার তিন উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কপথে জামালগঞ্জের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ উপজেলার অনেক গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। জেলা সদরের সাথে ধর্মপাশা উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ধর্মপাশার লোকজনও এই সড়কে সুনামগঞ্জ ও সিলেট যাতায়াত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরকারি এম্বুলেন্স, থানার গাড়ি, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িগুলো সুরমা নদীর ওপারে সাচনা বাজারে রাখা হচ্ছে। সড়কের দুর্ভোগের কারণে অধিকাংশ মানুষ এই সড়ক পরিহার করে সুরমা নদী পার হয়ে বিকল্প পথ হিসেবে সাচনাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক ব্যবহার করে জেলা সদরে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের জামালগঞ্জ উপজেলার রুপাখালী, নোওয়াগাঁও বাজার, বাহাদুরপুর, জাল্লাবাজ, ঘাগটিয়া, উজ্জ্বলপুরের ভাঙাসহ তেলিয়া-শাহাপুর হয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা সদর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের মধ্যে অসংখ্য খানাখন্দ। এছাড়া জামালগঞ্জ সদর থেকে মান্নানঘাট-সেলিমগঞ্জ হয়ে গজারিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ও কাঠইর থেকে নোয়াগাঁও বাজার পর্যন্ত সড়কের অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ২০২২ সালের শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার আগে সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী ছিল। বন্যায় জামালগঞ্জের উজ্জ্বলপুর অংশে বিশাল ভাঙনের সৃষ্টি হলে সারাদেশের সাথে জামালগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এলজিইডি কয়ে বার কাজ করলেও পুরোপুরি মেরামত হয়নি সড়কটি। ভাঙাচুরা-খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে উজ্জ্বলপুরের ভাঙায় কয়েক ধাপে ৫১ লাখ টাকা, শাহপুর অংশের গর্ত মেরামতে ৫ লাখ টাকা, জামালগঞ্জ হাসপাতালের সামনের এইচবিবি রাস্তা মেরামতে ২৮ লাখ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলিয়া-শাহপুর ভাঙা অংশে ইট সলিংয়ে ৫ লাখ টাকা ও সেলিমগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তা মেরামতে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইমার্জেন্সি মেইনটেন্যান্সের (জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ) নামে এই সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু টেকসই কাজ হয়নি।

জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, ২০২২ সালের বন্যায় ভাঙনের পর থেকে এই সড়কের অবস্থা খারাপ। জরুরী রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নাম করে বিগত সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এডিপি ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে দুইটি ধাপে ৫১ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু জনগণের উপকারে আসেনি। সড়ক ভাঙ্গাচোরার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে লাখো মানুষ। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর বলেন, জামালগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার সড়কটির বেহাল অবস্থা। হাসপাতালের এম্বুলেন্সটি এক বছর ধরে সুরমা নদীর ওপারে সাচনা বাজারে রাখছি। রোগীদের সুরমা নদী পার করে সাচনাবাজারে নিয়ে এম্বুলেন্সে তোলতে হয়। সড়কটি যদি ভাল থাকত তাহলে, হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরাসরি সদর হাসপাতাল বা সিলেটে স্থানান্তর করা যেত।

এলজিইডির সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের নোয়াগাঁও বাজার থেকে জামালগঞ্জ পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রাক্কলন এবং জামালগঞ্জ থেকে মান্নানঘাট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন ভাঙা অংশের জন্য ৩ কোটি ১২ লাখ টাকার প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। যানচলাচলের উপযোগী রাখতে সড়কের গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়া হবে।