বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার ধুনট-গোসাইবাড়ি সড়ক মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কের বিভিন্ন অংশের অবস্থা বেহাল। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক নিয়ে নানা অভিযোগ ও মেরামতের দাবি জানানো হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
নিজ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া বগুড়ার ধুনট-গোসাইবাড়ি সড়ক দেখিয়ে এমন আক্ষেপ করেন ভোলা মীর (৭৪)।
ভোলা মীর স্থানীয় জোড়খালী গ্রামের বাসিন্দা। ভাঙাচুরা এই সড়ক নিয়ে এমন আক্ষেপ এলাকার অসংখ্য বাসিন্দার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ধুনট শহর থেকে গোসাইবাড়ি কলেজ গেট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। প্রায় ৩ বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী সড়কটি কমপক্ষে ৪ বছর টেকসই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিকে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিক সড়কটির ধারণক্ষমতার অধিক ভারী যানবাহন চলাচল করায় টেকসই হয়নি সড়কটি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে পুরো সড়ক।
অথচ প্রশাসনকে বলে কোনো কাজ হয়নি। সড়কজুড়ে খানাখন্দ-গর্ত। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা সড়ক। সড়কটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে ভোগান্তি। সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্তে ঢেউ খেলছে নোংরা পানি।
পায়ে হেঁটে চলাও অত্যন্ত কষ্টদায়ক। গর্তগুলো পাশ কাটিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলে যানবাহন।
বাসচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের পিচ উঠে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলায় গর্তগুলো এখন মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক বেহাল হওয়ার কারণে বাস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে যানবাহনের মেরামত-ব্যয়ও বেড়েছে। শিগগিরই সড়কটি সংস্কার করা না হলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে।’
গোসাইবাড়ি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ জানান, সড়ক দিয়ে ইজিবাইকে কলেজে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। কারণ, ভাঙাচুরা সড়কে ইজিবাইক এমনভাবে হেলেদুলে চলে, যেন কাত হয়ে পড়ে যাবে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সড়কের খারাপ অবস্থার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সহজে বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বরাদ্দ পেলেই দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করা হবে।’