খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করা হয়েছিল।
এতে বলা হয়, ‘শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা দেওয়া এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত সাম্প্রতিক নৃশংস গণহত্যার প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই জেলা প্রধান, ডিজিএফআই জেলা প্রধান ও এএসপি (তদন্ত) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের ৮ দফা দাবি, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং শহীদ পরিবার প্রতি নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে জুম্ম ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয় খাগড়াছড়ি। যদিও মেডিকেল পরীক্ষায় কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পায়নি তিন সদস্যের চিকিৎসক দল। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সহিংসতায় নিহত হয় তিনজন, আহত হয় অর্ধশতাধিক।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে টানা চারদিন অবরোধ চলার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে তা ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে জুম্ম ছাত্র-জনতা। কিন্তু ওইদিনই মেডিকেল বোর্ড জানায়, মেডিকেল পরীক্ষায় কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মেলেনি।