Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধার্ত বিএনপি ক্ষমতার জন্য বেসামাল হয়ে গেছে : কাদের

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় না থাকার কারণে বিএনপি ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। তারা এখন ক্ষমতার জন্য পাগল ও বেসামাল হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আরেকটি হাওয়া ভবন করবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে আদালতের রায়ে। এটাকে আর জীবিত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচনের জন্য। বাংলাদেশে কারো ফরমায়েশে নির্বাচন হবে না।

বিদেশিদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন দেখলেন। এটা মাইনর সিট অথচ পাঁচটি সিটিতে একমাস হয়নি ইলেকশন হলো শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু। ওই নির্বাচনে ৫০ থেকে ৫৩ পার্সেন্ট ভোট পড়ল।

বিএনপিকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকবার ক্ষমতায় গেলে এরা আবারও হাওয়া ভবন করবে। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার আদর্শ, দেশের উন্নয়ন গিলে খাবে। সুযোগ পেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। এই দলের কাছে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, আইনের শাসন, দেশের নিরাপত্তা, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। বিএনপি মানে ভোট চুরি, ভোট জালিয়াতি, বিএনপি মানে ভুয়া ভোটার তালিকা। বিএনপি নালিশ পার্টি। এখন দেখছে নালিশ করতে করতে আর কাজ হচ্ছে না। এখন বিএনপি খাই-দাই পাটি। ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, বেপরোয়া হয়ে গেছে। বিএনপির এখন ক্ষমতার দরকার নেই। তাদের লক্ষ্য একটাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নেতাকর্মীদের মওদুদ বলেছিলেন, ভোট কি এখনো শেষ হয়নি। বিএনপি বাংলাদেশে এ ভোট করেছে।

উন্নয়ন নিয়ে বিএনপি নেতাদের ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে ভোট দিলে এখন আওয়ামী লীগই জিতবে। বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আমি যা বললাম, বাস্তবে সেটা দিনক্ষণ লিখে রাখুন। কিছু তো দেখেন না। উন্নয়ন দেখেন না। নিজেরা তো কিছু করতে পারেন না। শেখ হাসিনা করেছেন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল। দেখলে বিএনপি নেতাদের বুকের জ্বালা বাড়ে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম সজ্জন ব্যক্তি, কিন্তু তিনি কথা-বার্তায় বড় বেশামাল। এত মিথ্যা তিনি বলতে পারেন! এত বিষ তার মুখে ভাবতেই অবাক লাগে! দেখলে সাচ্চা ভদ্র লোক মনে হয়। আসলে মির্জা ফখরুল প্যাথলজিক্যাল লায়ার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নোয়াখালীতে বিএনপির নেতারা এসে প্রধানমন্ত্রী এবং আমাকে নিয়ে ফখরুল নিজে ও তার নেতারা গালিগালাজ করেছে। ফখরুল একজন শিক্ষক হয়ে এত খারাপ কথা, এত নোংরা কথা তার মুখ দিয়ে কেমন করে বের হয়। নোয়াখালীর মানুষ দিনের বেলায় আলো দেখে। তারা সত্য-মিথ্যা জানে। আপনারা দিনের আলোয় অন্ধকার দেখেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি বিদেশির কাছে নালিশ করতে করতে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ইউরোপ-আমেরিকা এসেছে। বিএনপি ভেবেছে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দেবে। পাইলেন কি ঘোড়ার ডিম। ইউরোপ-আমেরিকা কি দিল। এখন বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। নেতারা মুখে বলে না, পত্রিকায় গালিগালাজ করেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী আগে ছিল বিএনপির ঘাঁটি। এই ঘাঁটি আমরা ভেঙে দিয়েছে মারামারি-গোলাগুলি করে নয়, কাজ করে সেই ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছি। আমার উন্নয়ন মানুষ চোখে দেখছে, সব চোখের সামনে আছে। শেখ হাসিনার উছিলায় অন্ধকার থেকে আলো জালিয়েছি।

আ.লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, নিজেদের আচরণ সংযত করুন। শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেছে আপনারা ভালো আচরণ করুন মানুষের সঙ্গে। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না।

নেতাকর্মীদের স্লোগানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আমি একটা স্লোগান শুনেছি। এ স্লোগান যেন আর না শুনি। রক্তের বন্যা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান না। ভেসে যাবে অন্যায়। এ স্লোগান কেন আমরা দেব, কি প্রয়োজন। রক্তের বন্যা আমরা বহাতে যাব কেন। আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে যে আগুন নিয়ে আসবে সে হাত গুঁড়িয়ে দেবেন। যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে সে হাত আমরা ভেঙে দেব। আমরা আক্রমণকারী হব না। আক্রান্ত হলে পালটা জবাব দেব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আগামী ২৭ জুলাই ঢাকাতে বিএনপির মহাসমাবেশ এ নিয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আমাদের আগস্ট মাস, সেপ্টেম্বর মাস, জুলাইয়ের বাকি কয়দিন ও অক্টোবর মাস নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়ন শোভাযাত্রা।

এর আগে সকালে মন্ত্রী আধুনিকায়ন করা বসুরহাট পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড ও বসুরহাট পৌরসভার ৭৩৫টি সোলার বাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সঞ্চালনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

ক্ষুধার্ত বিএনপি ক্ষমতার জন্য বেসামাল হয়ে গেছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় না থাকার কারণে বিএনপি ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছে। তারা এখন ক্ষমতার জন্য পাগল ও বেসামাল হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আরেকটি হাওয়া ভবন করবে, গণতন্ত্র গিলে খাবে।

রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে আদালতের রায়ে। এটাকে আর জীবিত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচনের জন্য। বাংলাদেশে কারো ফরমায়েশে নির্বাচন হবে না।

বিদেশিদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচন দেখলেন। এটা মাইনর সিট অথচ পাঁচটি সিটিতে একমাস হয়নি ইলেকশন হলো শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু। ওই নির্বাচনে ৫০ থেকে ৫৩ পার্সেন্ট ভোট পড়ল।

বিএনপিকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকবার ক্ষমতায় গেলে এরা আবারও হাওয়া ভবন করবে। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার আদর্শ, দেশের উন্নয়ন গিলে খাবে। সুযোগ পেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। এই দলের কাছে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, আইনের শাসন, দেশের নিরাপত্তা, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। বিএনপি মানে ভোট চুরি, ভোট জালিয়াতি, বিএনপি মানে ভুয়া ভোটার তালিকা। বিএনপি নালিশ পার্টি। এখন দেখছে নালিশ করতে করতে আর কাজ হচ্ছে না। এখন বিএনপি খাই-দাই পাটি। ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, বেপরোয়া হয়ে গেছে। বিএনপির এখন ক্ষমতার দরকার নেই। তাদের লক্ষ্য একটাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নেতাকর্মীদের মওদুদ বলেছিলেন, ভোট কি এখনো শেষ হয়নি। বিএনপি বাংলাদেশে এ ভোট করেছে।

উন্নয়ন নিয়ে বিএনপি নেতাদের ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বুঝতে পেরেছে ভোট দিলে এখন আওয়ামী লীগই জিতবে। বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আমি যা বললাম, বাস্তবে সেটা দিনক্ষণ লিখে রাখুন। কিছু তো দেখেন না। উন্নয়ন দেখেন না। নিজেরা তো কিছু করতে পারেন না। শেখ হাসিনা করেছেন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল। দেখলে বিএনপি নেতাদের বুকের জ্বালা বাড়ে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম সজ্জন ব্যক্তি, কিন্তু তিনি কথা-বার্তায় বড় বেশামাল। এত মিথ্যা তিনি বলতে পারেন! এত বিষ তার মুখে ভাবতেই অবাক লাগে! দেখলে সাচ্চা ভদ্র লোক মনে হয়। আসলে মির্জা ফখরুল প্যাথলজিক্যাল লায়ার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নোয়াখালীতে বিএনপির নেতারা এসে প্রধানমন্ত্রী এবং আমাকে নিয়ে ফখরুল নিজে ও তার নেতারা গালিগালাজ করেছে। ফখরুল একজন শিক্ষক হয়ে এত খারাপ কথা, এত নোংরা কথা তার মুখ দিয়ে কেমন করে বের হয়। নোয়াখালীর মানুষ দিনের বেলায় আলো দেখে। তারা সত্য-মিথ্যা জানে। আপনারা দিনের আলোয় অন্ধকার দেখেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি বিদেশির কাছে নালিশ করতে করতে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ইউরোপ-আমেরিকা এসেছে। বিএনপি ভেবেছে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দেবে। পাইলেন কি ঘোড়ার ডিম। ইউরোপ-আমেরিকা কি দিল। এখন বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। নেতারা মুখে বলে না, পত্রিকায় গালিগালাজ করেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী আগে ছিল বিএনপির ঘাঁটি। এই ঘাঁটি আমরা ভেঙে দিয়েছে মারামারি-গোলাগুলি করে নয়, কাজ করে সেই ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছি। আমার উন্নয়ন মানুষ চোখে দেখছে, সব চোখের সামনে আছে। শেখ হাসিনার উছিলায় অন্ধকার থেকে আলো জালিয়েছি।

আ.লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, নিজেদের আচরণ সংযত করুন। শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেছে আপনারা ভালো আচরণ করুন মানুষের সঙ্গে। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না।

নেতাকর্মীদের স্লোগানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আমি একটা স্লোগান শুনেছি। এ স্লোগান যেন আর না শুনি। রক্তের বন্যা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান না। ভেসে যাবে অন্যায়। এ স্লোগান কেন আমরা দেব, কি প্রয়োজন। রক্তের বন্যা আমরা বহাতে যাব কেন। আমরা শান্তি চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে যে আগুন নিয়ে আসবে সে হাত গুঁড়িয়ে দেবেন। যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে সে হাত আমরা ভেঙে দেব। আমরা আক্রমণকারী হব না। আক্রান্ত হলে পালটা জবাব দেব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আগামী ২৭ জুলাই ঢাকাতে বিএনপির মহাসমাবেশ এ নিয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আমাদের আগস্ট মাস, সেপ্টেম্বর মাস, জুলাইয়ের বাকি কয়দিন ও অক্টোবর মাস নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়ন শোভাযাত্রা।

এর আগে সকালে মন্ত্রী আধুনিকায়ন করা বসুরহাট পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড ও বসুরহাট পৌরসভার ৭৩৫টি সোলার বাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সঞ্চালনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।