নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুু বলেন, ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে দেশ আজ লুটেরাদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বেনজীর আহমেদসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়া হাজার কোটি টাকা লোপাটকারীদের ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠিতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। সাফল্য ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কষ্টকর জীবন কারাগারের জীবন হামলা মামলার জীবন এটা থেকে আমরা মুক্তি পাব না। সেই জন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ সেই দিনই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে যেদিন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকার আমরা অর্জন করেছিলাম সেটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এই ৫২-৫৩ বছরের পরে আমরা দুর্নীতিবাজদেরকে সে দেশে থাকুক আর বিদেশে পালিয়ে যাক তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে যথাযথভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলে আমরা মনে করব জাতির জন্য আমরা কিছু করতে পেরেছি দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা কি ভাবা যায়? ১০-১২টি ব্যাংক একেবারে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে লুটপাট করে ফেলা হয়েছে এটা ভাবা যায় না। আপনি ভারতে যান পাকিস্তানে জান শ্রীলঙ্কায় জান সে সব দেশেও এত লুটপাট করা হয় না। আমি অন্য কোনো দেশের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি না এই দেশকে একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যের দেশে রূপান্তরিত করেছে বর্তমান সরকার।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আদরের দুলাল ছিলেন। এত ভালবাসা এত সম্মান এত শ্রদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের আগে অন্য কোনো নেতা পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এই কথা বলছি এই কারণে তার মৃত্যুর পর যে জানাজা ঢাকা শহরে আমরা দেখেছি শুধু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নয় সারা বিশ্বে এই ধরনের জানাজা আমরা খুবই কম দেখেছি।’
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার প্রশ্নে গণতন্ত্রের প্রশ্নে বহুদলীয় রাজনীতির প্রশ্নে কৃষকদেরকে প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে তিনি মহানায়ক ছিলেন। জিয়াউর রহমান দেশকে সারা বিশ্বের কাছে একটি সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।’
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মাদ দুলুর সভাপতিত্বে সভাপতিত্বর স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়া শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি জাহাঙ্গীর সিকদার, কৃষকদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এসকে সাদী, সংগঠনের সদস্য খালেদ এনাম মুন্নার, ডা. আরিফুর রহমান প্রমুখ।