স্পোর্টস ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ঘনিয়ে আসায় ইতিবাচক শিরোনামই হওয়ার কথা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে। কিন্তু নেতিবাচক কারণে শিরোনামে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজকের দলটির ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৪ বিশ্বকাপ শুরুর আগে অব্যবস্থাপনার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসসি)। বোর্ডটির অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক এবং প্যারা অলিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি)। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও।
যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি) দেশটির ক্রিকেটের পরিস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে চলমান অবস্থা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে ইউএসওপিসি।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইউএসএসির পরিচালকরা বোর্ডের নিয়মিত কাজ করতে সমস্যার সৃষ্টি করছেন। এমনকি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই।
এসব ঘটনায় আইসিসিও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি অসন্তুষ্ট বলেই জানা গেছে। আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর অনেকেই ইউএসএসিকে নিষিদ্ধ করার পক্ষেও আছে, তবে সামনে বিশ্বকাপ থাকায় এখনইউ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না আইসিসি।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের অনেকেই নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে বলে এই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না আইসিসি। ২৯ জুন টুর্নামেন্ট শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তাঁরা মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাঁদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না। তাঁরা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তাঁরা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’
ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। নুর মুরাদকে সরিয়ে দেয়া যার সর্বশেষ নজির। গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে।
মুরাদকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেয়ায় আইসিসি পুনর্বহাল করতে বলেছিল। কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
ইউএসএসি পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে একটি সূত্র ক্রিকবাজকে বলেন, ‘তারা মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না। তারা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তারা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’
ইউএসএ ক্রিকেটের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুসারে, পরিচালনা পর্ষদে ১০ জন পরিচালক আছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ভেনু পিসিকেসহ ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক। বাকিরা লিগ, ক্লাব এবং নারী ও পুরুষ ক্রিকেটার পরিচালক পদে। তাদের বেশির ভাগই ভারতীয় উপমহাদেশ বংশোদ্ভুত।
উল্লেখ্য, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ম্যাচ দিয়ে। ২৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি ম্যাচ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্পোর্টস ডেস্ক 
























