Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন শন মার্শ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৯ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর খেলেননি শন মার্শ। পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আবার সম্পর্কে মিচেল মার্শের বড় ভাই। শন বিদায় বলেছেন বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগডসের হয়ে সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলে। ৪০ বছর বয়সী শন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছেড়েছেন গত মৌসুমের শেষ দিকে।

চলতি সপ্তাহের বুধবার সিডনি থান্ডার্স-মেলবোর্ন রেনেগেডস ম্যাচটাই এবারের বিগ ব্যাশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। মেলবোর্ন রেনেগেডসেরও এটা শেষ ম্যাচ, যেখানে সেরা চারের লড়াই থেকে রেনেগেডস ছিটকে গেছে আগেই। থান্ডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানবে বলে রেনেগেডস আজ নিশ্চিত করেছে। রেনেগেডস ক্লাবে মার্শ খেলছেন ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে। এক বিবৃতিতে অবসরের ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, আমি রেনেগেডসের হয়ে খেলতে পছন্দ করি। এখানে গত পাঁচ বছরে অনেক ভালো মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প আজীবন মনে থাকবে। খেলোয়াড়দের এই গ্রুপটা বিশেষ। সতীর্থ হিসেবে তারা সবাই আমার কাছে অসাধারণ। এমনকি ভালো বন্ধুও। রেনেগেডসের কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ—সবাই যেভাবে আমার পাশে থেকেছেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

নিজের অবসর প্রসঙ্গে মার্শ জানিয়েছেন যে রেনেগেডসদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকে তিনি ভালো সময় কাটিয়েছেন। এখানেই শেষ নয় তিনি আরও জানিয়েছেন যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বেশকিছু নতুন বন্ধুও বানিয়েছেন যারা এখন তাঁর সবকিছু হয়ে গিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি রেনাগেডসদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলাম। ওদের হয়ে খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে অনেক নতুন ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এবং এরা সকলেই আমার চিরজীবনের জন্য ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে। ওরা সকলেই অসাধারণ সতীর্থ আমার। এছাড়াও আমাদের সকল সদস্য ও ফ্যানেরা ও খুব ভালো এবং আমি ওদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে লাগাতার সমর্থনের জন্য। আমি ওদের এখন একটাই কথা বলব যে চিরকাল এই দলকে সমর্থন করে যান এবং ওদের মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে মেলবোর্ন রেনাগেডসকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার। এখানে কোচ থেকে শুরু করে বাকি স্টাফেরা সকলেই আমায় লাগাতার মানসিক শক্তি জোগাতো এবং সেই কারণেই মাঠে আমি চাপমুক্ত থাকতাম।

তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ক্রিকেট জীবনে আমি পার্থ স্করচার্সকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের সঙ্গে খেলাটাও আমি বেশ উপভোগ করতাম এবং অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ওই দলের সঙ্গে। তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সেরা হল পরপর দুবার খেতাব জেতা। একজন ক্রিকেটার হয়ে এরম দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এই জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। ওই মুহূর্তটি আমার আজও মনে আছে এবং সত্যি বলতে গেলে এগুলি আমি কোনও দিনই ভুলতে পারব না। আমার চিরকাল মনে থাকবে এটা।

এবারের বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডস এখন পর্যন্ত খেলেছে ৯ ম্যাচ। তবে চোটে পড়ায় এবারের বিগ ব্যাশে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি মার্শ। যতটুকু খেলেছেন, তাঁর পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ৫ ম্যাচে ৪৫.২৫ গড় ও ১৩৮.১৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৮১ রান। করেছেন ৩ ফিফটি।

বিগ ব্যাশ ইতিহাসের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ৬ নম্বরে মার্শ। ২০১১ থেকে ২০২৪—১৩ বছরে ৭৯ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০.৭২ গড় ও ১২৯.৭২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৮১০ রান। করেছেন ২৭ ফিফটি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৯ রানের। মেলবোর্ন রেনেগেডসের আগে তিনি খেলেছেন পার্থ স্করচার্সের হয়ে। শুরুর মৌসুম ২০১১-১২ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত স্করচার্সের হয়ে খেলে তিনটি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫—টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্করচার্স। স্করচার্সকে নিয়ে মার্শ বলেন, ‘স্করচার্সের কাছে আমি অনেক ঋণী। পার্থে অনেক দারুণ স্মৃতি রয়েছে। সেখানে সত্যিই আমি সময়টা উপভোগ করেছি। টানা শিরোপা জেতা আমার কাছে সবচেয়ে উপভোগ্য মুহূর্ত।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন শন মার্শ

প্রকাশের সময় : ০২:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০১৯ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর খেলেননি শন মার্শ। পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আবার সম্পর্কে মিচেল মার্শের বড় ভাই। শন বিদায় বলেছেন বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগডসের হয়ে সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলে। ৪০ বছর বয়সী শন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ছেড়েছেন গত মৌসুমের শেষ দিকে।

চলতি সপ্তাহের বুধবার সিডনি থান্ডার্স-মেলবোর্ন রেনেগেডস ম্যাচটাই এবারের বিগ ব্যাশের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। মেলবোর্ন রেনেগেডসেরও এটা শেষ ম্যাচ, যেখানে সেরা চারের লড়াই থেকে রেনেগেডস ছিটকে গেছে আগেই। থান্ডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানবে বলে রেনেগেডস আজ নিশ্চিত করেছে। রেনেগেডস ক্লাবে মার্শ খেলছেন ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে। এক বিবৃতিতে অবসরের ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, আমি রেনেগেডসের হয়ে খেলতে পছন্দ করি। এখানে গত পাঁচ বছরে অনেক ভালো মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প আজীবন মনে থাকবে। খেলোয়াড়দের এই গ্রুপটা বিশেষ। সতীর্থ হিসেবে তারা সবাই আমার কাছে অসাধারণ। এমনকি ভালো বন্ধুও। রেনেগেডসের কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ—সবাই যেভাবে আমার পাশে থেকেছেন, তাঁদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

নিজের অবসর প্রসঙ্গে মার্শ জানিয়েছেন যে রেনেগেডসদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থেকে তিনি ভালো সময় কাটিয়েছেন। এখানেই শেষ নয় তিনি আরও জানিয়েছেন যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বেশকিছু নতুন বন্ধুও বানিয়েছেন যারা এখন তাঁর সবকিছু হয়ে গিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি রেনাগেডসদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলাম। ওদের হয়ে খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে অনেক নতুন ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে এবং এরা সকলেই আমার চিরজীবনের জন্য ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে। ওরা সকলেই অসাধারণ সতীর্থ আমার। এছাড়াও আমাদের সকল সদস্য ও ফ্যানেরা ও খুব ভালো এবং আমি ওদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে লাগাতার সমর্থনের জন্য। আমি ওদের এখন একটাই কথা বলব যে চিরকাল এই দলকে সমর্থন করে যান এবং ওদের মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে মেলবোর্ন রেনাগেডসকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার। এখানে কোচ থেকে শুরু করে বাকি স্টাফেরা সকলেই আমায় লাগাতার মানসিক শক্তি জোগাতো এবং সেই কারণেই মাঠে আমি চাপমুক্ত থাকতাম।

তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ক্রিকেট জীবনে আমি পার্থ স্করচার্সকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের সঙ্গে খেলাটাও আমি বেশ উপভোগ করতাম এবং অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ওই দলের সঙ্গে। তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে সেরা হল পরপর দুবার খেতাব জেতা। একজন ক্রিকেটার হয়ে এরম দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এই জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। ওই মুহূর্তটি আমার আজও মনে আছে এবং সত্যি বলতে গেলে এগুলি আমি কোনও দিনই ভুলতে পারব না। আমার চিরকাল মনে থাকবে এটা।

এবারের বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডস এখন পর্যন্ত খেলেছে ৯ ম্যাচ। তবে চোটে পড়ায় এবারের বিগ ব্যাশে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি মার্শ। যতটুকু খেলেছেন, তাঁর পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ৫ ম্যাচে ৪৫.২৫ গড় ও ১৩৮.১৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৮১ রান। করেছেন ৩ ফিফটি।

বিগ ব্যাশ ইতিহাসের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ৬ নম্বরে মার্শ। ২০১১ থেকে ২০২৪—১৩ বছরে ৭৯ ম্যাচ খেলেছেন। ৪০.৭২ গড় ও ১২৯.৭২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৮১০ রান। করেছেন ২৭ ফিফটি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৯ রানের। মেলবোর্ন রেনেগেডসের আগে তিনি খেলেছেন পার্থ স্করচার্সের হয়ে। শুরুর মৌসুম ২০১১-১২ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত স্করচার্সের হয়ে খেলে তিনটি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫—টানা দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্করচার্স। স্করচার্সকে নিয়ে মার্শ বলেন, ‘স্করচার্সের কাছে আমি অনেক ঋণী। পার্থে অনেক দারুণ স্মৃতি রয়েছে। সেখানে সত্যিই আমি সময়টা উপভোগ করেছি। টানা শিরোপা জেতা আমার কাছে সবচেয়ে উপভোগ্য মুহূর্ত।