স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল তাদের সবশেষ কয়েকটি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যার সুবাদে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে টাইগ্রেস ক্রিকেটারদের। ছন্দে থাকার পুরস্কার পেয়েছেন নাহিদা আক্তার। তার ধারাবাহিক চমৎকার বোলিংয়ের ছাপ পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। নারী ক্রিকেটে ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ক্যারিয়ার সেরা দ্বাদশ স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
সর্বশেষ ৯ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন নাহিদা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৯ রানের রেকর্ড জয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। এই পারফরম্যান্সে নারী বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তার রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৫৬২, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। নাহিদার সমান পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে দ্বাদশ স্থানে আছেন পাকিস্তানের নাশরা সান্ধু।
সেরা বিশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি আছেন কেবল আর একজন। ৪৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সেরা বিশে আছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন। ৩২৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে ৫৬ নম্বরে আছেন রায়েব খান ও ফাহিমা খাতুন। ৩২১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই সুলতানা খাতুন।
এ ছাড়া শীর্ষ ৫০-এ আছেন রুমানা আহমেদ (৩২) ও জাহানারা আলম (৩৩)। সালমা, রুমানা ও জাহানারা অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজে নেই। দলে থাকাদের মধ্যে দুই লেগ স্পিনার রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন আছেন যৌথভাবে ৫৬ নম্বরে। অফ স্পিনার সুলতানা খাতুন ৫৮ নম্বরে, পেসার মারুফা আক্তার ৬৯ নম্বরে, পেসার রিতু মনি ৯৪ নম্বরে আছেন।
১০০ বলে অপরাজিত ৯১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মুরশিদা খাতুনের। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা মুরশিদা মেয়েদের ওয়ানডে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছেন। ২৩ ধাপ এগিয়ে ৫২ নম্বরে উঠেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছেন ফারজানা হক। ১৫ নম্বরে আছেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। এরপরই আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা (২৭) ও রুমানা আহমেদ (৪৭)। এ ছাড়া শীর্ষ ১০০-তে আছেন শামীমা সুলতানা (৬৮), শারমিন আক্তার (৭৩), রিতু মনি (৭৬), লতা মণ্ডল (৭৮) ও সোবহানা মোস্তারি (৮৭)।
ব্যাটিংয়ে সবার ওপরে আছেন ইংল্যান্ডের নাটালি সিভার-ব্রান্ট। বোলিংয়ে একই দেশের সোফি একলস্টোন আছেন শীর্ষে। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার।