Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যান্টিন বয় ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শনিবার (১৫ জুলাই) সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৫ জুলাই) চোখ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট রাব্বির দিকে চোখ পড়ে তার। তিনি এগিয়ে যান, পরম মমতায় আদর করেন শিশুটিকে। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান- কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে। রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর রাব্বির সব দায়িত্ব নিয়ে নিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী।

১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-এর ৮/৩ নম্বর ঘরে থাকেন। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে রাব্বি। ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।

এসব কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাৎক্ষণিকভাবে রাব্বির সব দায়িত্ব নিয়ে নেন তিনি। পাশাপাশি পরবর্তীতে রাব্বির পড়াশোনাসহ যেকোনো প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

ক্যান্টিন বয় ছোট্ট রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শনিবার (১৫ জুলাই) সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১৫ জুলাই) চোখ পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তে ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট রাব্বির দিকে চোখ পড়ে তার। তিনি এগিয়ে যান, পরম মমতায় আদর করেন শিশুটিকে। মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান- কী করে সে, কার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছে, কোন ক্লাসে পড়ে। রাব্বির কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর রাব্বির সব দায়িত্ব নিয়ে নিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী।

১১ বছরের রাব্বি জানায়, সে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ করে। সেখানেই থাকে। তার বাবা মারা গেছেন। মা রাবেয়া বেগম সুতার কারখানায় কাজ করতেন। এখন চাঁদপুরে রাম দাসদি আশ্রয়ণ-এর ৮/৩ নম্বর ঘরে থাকেন। রাব্বির সৎ বাবা জাহাঙ্গীর আলম দিনমজুর। ক্যান্টিনে কাজ নেওয়ার আগে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে রাব্বি। ছোট্ট শিশুটি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, আমি চাঁদপুরে মায়ের কাছে যেতে চাই। আবার পড়াশোনা করতে চাই।

এসব কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাৎক্ষণিকভাবে রাব্বির সব দায়িত্ব নিয়ে নেন তিনি। পাশাপাশি পরবর্তীতে রাব্বির পড়াশোনাসহ যেকোনো প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।