নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা যাবে না। যেকোনো বয়সেই এবং যেকোনো স্থানেই শিখতে হবে। শেখা অব্যাহত রাখতে হবে। শেখার জন্য সবসময়ই উদার মানসিকতা রাখতে হবে।
রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একাদশ সমাবর্তনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে অনেক সুযোগ। তাদের কর্মদক্ষ করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী হতে হবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অতিরিক্ত মাত্রায় মূল্য না দিয়ে প্রফেশনাল ও ভোকেশনাল শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি সফট স্কিলে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা কর্ম উপযোগী হতে না পারলে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে নিয়ে যাবে। কি কারণে তারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো করছে, তা দেখতে হবে। গ্রাজুয়েটদের ভাষা দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের উপস্থাপন ও যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।
আমাদের তরুণদের সামনে অনেক সুযোগ রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য দেশের স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়—যেখানেই হোক না কেন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষ করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি দক্ষতা এবং সফটস্কিলও বাড়াতে কাজ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতাও বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতায়ও জোর দিতে হবে। দেশেই অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে। সেজন্য নিজেকে কর্ম উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের দক্ষতা না বাড়লে সামনেও আমাদের দেশে দক্ষ লোক হিসেবে বিদেশিরা আসতেই থাকবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আমেরিকার জর্জটাউন ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ড. ফ্রাঙ্কো গান্ডোলিফ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান।
এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য দেন সাংবাদিকতা বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মো. মেহরাবুল হক।
এবারের সমাবর্তনে ৬ হাজার ২৮৪ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ দেওয়া হয়।