নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনগুলো যেন শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমাদের প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। কোনো অপশক্তি ও অন্যায়ের কাছে যেন আমরা মাথা নত না করি।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কে কার আত্মীয় এসব বিবেচ্য বিষয় নয়। যে যারই আত্মীয় হোক না কেন তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইসি আলমগীর বলেন, সংসদ নির্বাচনে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এবারও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে কে কার আত্মীয়, কে কার আত্মীয় নয়- এটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো- তিনি প্রার্থী কিনা, আর প্রার্থী হলে তার যেসব আইনগত অধিকার আছে সেগুলো পাবেন। যেগুলো করার অধিকার নেই, যারই আত্মীয় হোক না কেন, তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এরই মধ্যে আপনারা দেখেছেন যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ক্যাম্প করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সে সব অবৈধ ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন সে বিষয়ে মাইকিং করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ব্যানার-ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।