Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা নেই সরকারের : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চারিদিক থেকে বিচ্ছিন্ন। সবাই এই সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদনের পর এখন এই সরকারের কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা নেই।

রোববার (২৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মৎসজীবী দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহ-দলটির অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে সব শেষ করে দেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে পাল্টা প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, প্রতিপক্ষকে নিঃশেষ করার দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হওয়ার নজির নেই। বিএনপি ৮১ সালে ক্ষমতায় আসেনি? বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তো আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন। তিনি দেশে ফেরার ১৫ দিন পর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। বিপক্ষ দল ও প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের। সিরাজ শিকদার তো আপনাদের হাতে মারা গেছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরুকে তো আপনারা গুম করেছেন।

পতনের আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ এর কাজ করাতে চাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী।

বিনেপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগের কী ক্ষতি হয়েছে? বরং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা হারিয়ে যায়, ছাত্রনেতারা বিচারবহির্ভূত হত্যার স্বীকার হন।

কারাগারে দলের নেতাদের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো দেড় দশক ধরে লাঞ্ছিত, অপমানিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এই মানবদেহ আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? কারগারের ভেতরে একের পর এক নেতাকর্মীর মৃত্যু সংবাদ আসছে। পৃথিবীতে একদলীয় নিপীড়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলে, যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদেরকে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও এর পেছনে নানা ষড়যন্ত্র থাকে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের নীল নকশায় তিলে তিলে নিঃশেষ করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাকে আটক রাখার মধ্য দিয়ে। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে লড়াই করছেন। আমরা তার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। আজকে দেশের জন্য, দেশের বঞ্চিত মানুষদের জন্য আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোহাম্মাদ নেছারুল হক, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা নেই সরকারের : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চারিদিক থেকে বিচ্ছিন্ন। সবাই এই সরকারকে ধিক্কার দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদনের পর এখন এই সরকারের কোথাও মুখ দেখানোর জায়গা নেই।

রোববার (২৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মৎসজীবী দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সহ-দলটির অসুস্থ নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে সব শেষ করে দেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে পাল্টা প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, প্রতিপক্ষকে নিঃশেষ করার দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের। বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হওয়ার নজির নেই। বিএনপি ৮১ সালে ক্ষমতায় আসেনি? বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তো আজকের প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন। তিনি দেশে ফেরার ১৫ দিন পর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। বিপক্ষ দল ও প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের। সিরাজ শিকদার তো আপনাদের হাতে মারা গেছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরুকে তো আপনারা গুম করেছেন।

পতনের আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দিয়ে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ এর কাজ করাতে চাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী।

বিনেপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগের কী ক্ষতি হয়েছে? বরং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা হারিয়ে যায়, ছাত্রনেতারা বিচারবহির্ভূত হত্যার স্বীকার হন।

কারাগারে দলের নেতাদের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো দেড় দশক ধরে লাঞ্ছিত, অপমানিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এই মানবদেহ আর কত অত্যাচার সহ্য করবে? কারগারের ভেতরে একের পর এক নেতাকর্মীর মৃত্যু সংবাদ আসছে। পৃথিবীতে একদলীয় নিপীড়ক সরকার ক্ষমতায় থাকলে, যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদেরকে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও এর পেছনে নানা ষড়যন্ত্র থাকে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারের নীল নকশায় তিলে তিলে নিঃশেষ করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাকে আটক রাখার মধ্য দিয়ে। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে লড়াই করছেন। আমরা তার রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবো। আজকে দেশের জন্য, দেশের বঞ্চিত মানুষদের জন্য আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোহাম্মাদ নেছারুল হক, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।