নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গিরা তালেবানি কায়দায় বর্বরতা চালিয়েছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি, জামায়াত কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী হামলা অগ্নিসংযোগ করতে পারে না। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের কাছে সকল প্রমাণ আছে। আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ছাত্রদের আন্দোলনে প্রবেশ করে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হবের আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে রাষ্ট্র আক্রান্ত। এই রাষ্ট্রের ওপরে হামলা তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। গতকাল তারা (বিএনপি নেতারা) শিকারোক্তি দিয়েছে, ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার ও পুলিশ মারলে দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যদি একটু ধৈর্য ধরা হতো তাহলে ছাত্র আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য দেশ বিরোধী অপশক্তি এই সুযোগ নিতে পারতো না। আর দেশের সম্পদের এমন অবস্থাও হতো না। ছাত্র নেতাদেরও এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে। ছাত্র নেতাদেরও বিষয়ে খোঁজ নেওয়া দরকার। তাদের মধ্যে দেশ বিরোধী অপশক্তি জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো এজেন্ট আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে যখন ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে তখন সেই বিভাগের কর্মকর্তারাই দুর্যোগ কবলিত মানুষের কাছে ছুটে যান। কিন্তু, এখন সেই মন্ত্রণালয়েও আগুন দিয়েছে। এটি রাষ্ট্রের ওপরে হামলা। যে সেতু ভবন পদ্মা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেছে সেই সেতুভবনকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাটা সেন্টারে আগুন দেওয়া হয়েছে যার কারণে বেশ কয়েকদিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে সাবমেরিন কেবলগুলোকে কেটে দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ঢাকাবাসীর গর্ব মেট্রোরেলে হামলা চালিয়েছে। ফুটওভার ব্রিজে আগুন দেওয়া হয়েছে। এক হাজারের বেশি গাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব যারা করেছে এবং যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।