Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে একরাতেই কবর থেকে সাত লাশ উধাও!

এসব কবর থেকে লাশ উধাও হয়ে গেছে

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইটখোলা কবরস্থান থেকে এক রাতেই সাতটি লাশ উধাও হয়ে গেছে। লাশ চুরির ঘটনায় ঐ কবরস্থানে দাফনকৃতের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার রাতের যেকোনো এক সময় লাশগুলি চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চুরি হয়ে যাওয়া লাশগুলো হলো তারানগর ইউনিয়নের ফজলে করিম, সাহাবুদ্দিন, ফজিলতুন নেসা, আমির, হাজী আ. করিম, সিরাজুল ইসলাম ও রওশন আরা।

স্থানীয় মো. মনির হোসেন জানান, গতকাল রাতে একসাথে ৭টি লাশ চুরি হয়েছে। গত এক বছর আগে এ কবরস্থান থেকে আরো দুটি লাশ চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা এলাকাবাসী নিজেরাই বসে এ বিষয়ে একটা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এমনটা আবারো হতে পারে।

মো. সাদেক নামে অন্য একজন বলেন, বছর খানেক আগে দুটি লাশ কবরস্থান থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তখন ভেবে ছিলাম হয়তো শিয়াল নিয়ে গেছে। কিন্তু এবারের বিষয়টিতে নিশ্চিত হলাম যে লাশ কবর থেকে চুরি হয়েছে কোনো পশু পাখি নিয়ে যায়নি।

আরও পড়ুন : কক্সবাজার থেকে ২০ বাসে করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর চলছে

স্থানীয় সৈয়দ আলী বলেন, আগে মাঝে মাঝেই কবর চারপাশে খোড়া দেখতাম। ভাবতাম এগুলো শিয়ালের কাজ। কিন্তু আজ সকালে কবরের কাছে এসে খোড়া কবরগুলোর আশে পাশে মানুষের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এ ব্যাপারে দুই নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হক বলেন, ঘটনাটা শুনেছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেই। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি তাই ব্যবস্থা কি নিব জানি না। তবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লাশ চুরি হয়ে থাকলে এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এক্ষুণি বিষয়টি দেখছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় লাশ চুরি রোধে যা যা করণীয় সবই করব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

কেরানীগঞ্জে একরাতেই কবর থেকে সাত লাশ উধাও!

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইটখোলা কবরস্থান থেকে এক রাতেই সাতটি লাশ উধাও হয়ে গেছে। লাশ চুরির ঘটনায় ঐ কবরস্থানে দাফনকৃতের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার রাতের যেকোনো এক সময় লাশগুলি চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চুরি হয়ে যাওয়া লাশগুলো হলো তারানগর ইউনিয়নের ফজলে করিম, সাহাবুদ্দিন, ফজিলতুন নেসা, আমির, হাজী আ. করিম, সিরাজুল ইসলাম ও রওশন আরা।

স্থানীয় মো. মনির হোসেন জানান, গতকাল রাতে একসাথে ৭টি লাশ চুরি হয়েছে। গত এক বছর আগে এ কবরস্থান থেকে আরো দুটি লাশ চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আমরা এলাকাবাসী নিজেরাই বসে এ বিষয়ে একটা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে এমনটা আবারো হতে পারে।

মো. সাদেক নামে অন্য একজন বলেন, বছর খানেক আগে দুটি লাশ কবরস্থান থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তখন ভেবে ছিলাম হয়তো শিয়াল নিয়ে গেছে। কিন্তু এবারের বিষয়টিতে নিশ্চিত হলাম যে লাশ কবর থেকে চুরি হয়েছে কোনো পশু পাখি নিয়ে যায়নি।

আরও পড়ুন : কক্সবাজার থেকে ২০ বাসে করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর চলছে

স্থানীয় সৈয়দ আলী বলেন, আগে মাঝে মাঝেই কবর চারপাশে খোড়া দেখতাম। ভাবতাম এগুলো শিয়ালের কাজ। কিন্তু আজ সকালে কবরের কাছে এসে খোড়া কবরগুলোর আশে পাশে মানুষের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছি। প্রশাসনের কাছে এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এ ব্যাপারে দুই নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হক বলেন, ঘটনাটা শুনেছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা নেই। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি তাই ব্যবস্থা কি নিব জানি না। তবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লাশ চুরি হয়ে থাকলে এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এক্ষুণি বিষয়টি দেখছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় লাশ চুরি রোধে যা যা করণীয় সবই করব।