Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষক-শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : বাণিজ্যমন্ত্রী

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

কৃষকের জন্য চায়ের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কৃষক-শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

টিপু মুনশি বলেন, শুধু নিলাম কেন্দ্র করলেই হবে না, যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিদারুণ কষ্ট করে চা উৎপাদন করছেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। যদি এটা করা না যায় তাহলে এই নিলাম কেন্দ্র হবে মূল্যহীন। তাই কৃষক ও চা শ্রমিকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

কৃষক ও চা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা যেন কারো হাতের পুতুল না হয়। কারো ইচ্ছার ওপর যেন তাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে না হয়। নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে কৃষক-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

চা উৎপাদনকারীরা কেন তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এমন প্রশ্ন রেখে বাণিজ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কৃষক-শ্রমিকরা সঠিক মূল্য না পেলে উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য চা বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশের চা উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয় সিলেট অঞ্চলে। সেখানে চা নিলাম কেন্দ্র হতে একশো বছরের বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু এখানে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে নিলাম কেন্দ্র করা সম্ভব হলো। এটা সত্যিই গৌরব ও সৌভাগ্যের।

মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা পাতা উত্তোলনের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চা শিল্পের উন্নয়নে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের সকলকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র হলো। এখন দরকার থাকার জন্য কিছু ভালো মানের আবাসিক ব্যবস্থা। কারণ আমরা জানি চা নিলামের সময় সশরীরে যারা অংশ নিবেন তারা এখানে আসবেন। যদি তাদের ভালো মানের একটা পরিবেশ দেওয়া না যায় তাহলে নিলাম কেন্দ্রের সুফল পাওয়া যাবে না।

স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাহারুল হক প্রধান এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনাররেল আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

কৃষক-শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : 

কৃষকের জন্য চায়ের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কৃষক-শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

টিপু মুনশি বলেন, শুধু নিলাম কেন্দ্র করলেই হবে না, যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিদারুণ কষ্ট করে চা উৎপাদন করছেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। যদি এটা করা না যায় তাহলে এই নিলাম কেন্দ্র হবে মূল্যহীন। তাই কৃষক ও চা শ্রমিকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

কৃষক ও চা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা যেন কারো হাতের পুতুল না হয়। কারো ইচ্ছার ওপর যেন তাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে না হয়। নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে কৃষক-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

চা উৎপাদনকারীরা কেন তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এমন প্রশ্ন রেখে বাণিজ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কৃষক-শ্রমিকরা সঠিক মূল্য না পেলে উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য চা বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দেশের চা উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয় সিলেট অঞ্চলে। সেখানে চা নিলাম কেন্দ্র হতে একশো বছরের বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু এখানে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে নিলাম কেন্দ্র করা সম্ভব হলো। এটা সত্যিই গৌরব ও সৌভাগ্যের।

মন্ত্রী বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা পাতা উত্তোলনের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চা শিল্পের উন্নয়নে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের সকলকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র হলো। এখন দরকার থাকার জন্য কিছু ভালো মানের আবাসিক ব্যবস্থা। কারণ আমরা জানি চা নিলামের সময় সশরীরে যারা অংশ নিবেন তারা এখানে আসবেন। যদি তাদের ভালো মানের একটা পরিবেশ দেওয়া না যায় তাহলে নিলাম কেন্দ্রের সুফল পাওয়া যাবে না।

স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেলমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাহারুল হক প্রধান এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনাররেল আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি প্রমুখ।