নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখনকার কূটনীতি শুধু রাজনৈতিক নয়, এটা এখন অর্থনৈতিক কূটনীতির স্তরে নিতে হবে। দূতাবাসগুলোতে এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে।
রোববার (০২ এপ্রিল) গণভবনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশ পাঠানোর আগে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচুর কর্মী রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন নতুন স্থান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে নতুন কিছু জায়গায় আমরা আমাদের কর্মী পাঠাচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে দক্ষ কর্মী আমাদের পাঠাতে হবে।
দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা যদি দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে আমাদের বিরাট একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিদেশে যাচ্ছেন, কাজ করছেন তারা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন। কাজেই আমাদের সব সময় এটাই প্রচেষ্টা থাকবে যারা বিদেশ যাবে তারা যেন সঠিকভাবে, সঠিক কর্মসংস্থান নিয়েই যেন যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ বিদেশে, যাদের রেমিট্যান্স আমরা পেয়ে থাকি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র ও নতুন দেশ (কর্মী পাঠানোর জন্য) খুঁজে বের করতে হবে। আমরা এমন ধরনের প্রশিক্ষণের (শ্রমিকদের জন্য) ব্যবস্থা করব যা একটি দেশের প্রয়োজন।
দেশে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে অনেক সময় টাকা বেহাতও হয়ে যায়। তাই বৈধ পথে টাকা পাঠালে সবার জন্যই ভালো।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দালাল ধরে বিদেশ যাচ্ছেন তারাই বিপদে পড়ছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছেন, তাদের এ ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে না।
সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সে জন্য কর্মীদের বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমরা যদি যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জনের বড় সুযোগ রয়েছে আমাদের।
প্রবাসী শ্রমিকরা যেন ভালো থাকে ও বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হয় সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।