কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান মধ্যপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার হারান বিশ্বাসের ছেলে লিটন (৩২) ও ইয়ার আলীর ছেলে রাজন (৩০)। নিহত রাজনের ভাই মিজান আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাগোয়ান মধ্যপাড়া গ্রামের মোশারফের বাড়িতে শ্রমিকরা নির্মাণকাজ করতে যান। শ্রমিক লিটন আলী বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে নামেন। পরে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে অপর শ্রমিক রাজন আলীও ট্যাংকের ভেতর নামেন। দুইজনের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। সেপটিক ট্যাংকে নেমে ভাইকে উদ্ধারের সময় রাজনের ভাই মিজান অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মিজান জানান, সকালে বাড়ির পাশে মোশারফ হোসের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে লিটনের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার ভাই রাজন তাকে উদ্ধার করতে নামে। পরে তার ভাইয়েরও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে তিনি ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার কবীর মিন্টু বলেন, সেপটিক ট্যাংকের শাটারিং খুলতে গিয়ে সম্ভবত অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে দুই শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সম্ভবত তারা মারা গেছেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বাগোয়ান গ্রামের মোশাররফের বাড়িতে নির্মিত সেপটিক ট্যাংকটি অনেকদিন ধরেই বন্ধ ছিল। শনিবার লিটন ও রাজন নামের দুই শ্রমিক সেখানে কাজ করতে নামলে ভেতরে জমে থাকা গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, মৃত শ্রমিকদের মরদেহ এখনও হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।