কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত তরিকুল ইসলাম তারিক (৩৫) চাপড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাবাদ গ্রামের মন্ডলপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ মে বিকেলে ভোট গণনার সময় চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন তরিকুল ইসলাম তারিক। একই ইউনিয়নের জয়নাবাদ মণ্ডলপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে তারিক বিজয়ী চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের (আনারস প্রতীক) সমর্থক ছিলেন। তা ছাড়া তিনি ছিলেন ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ হত্যাকাণ্ডে মদদদাতা হিসেবে চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজুকে দায়ী করেছেন আব্দুল মান্নান খান। তিনি বলেন, নিহত তারিক আমার সমর্থক ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মদদদাতা আছে। তাকে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী লালসহ মদদদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
তবে এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বলেন, নির্বাচনের দিন আমি ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ছিলাম। হামলাকারীরা মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ছিল। আর আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেছি। এই সন্দেহে থেকে হয়তো তিনি এমন অভিযোগ তুলছেন।
হামলার ঘটনায় গত ২৩ মে নিহতের বড় ভাই তরিকুল ইসলাম টরিক বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ কুমারখালী থানায় মামলা করেন। মামলায় আরও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।
তবে এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোরশেদ পিটারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, একজনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। গত ২৩ মে নিহতের ভাই থানায় মামলা করেছিলেন। তবে মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।