Dhaka মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় মাত্র ১১ মাসে হাফেজা হলেন শিশু মারজুকা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা প্রতিনিধি : 

বাবা মা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে মোসাঃ মারজুকা বড়। শিশু থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। ১০ বছর বয়সী শিশু মারজুকা তার সাফল্যতায় শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার ও এলাকাবাসীর সবার মাঝে প্রশংসায় ভাসছেন। ভর্তি হওয়ার পর নাজেরা শেষ করে মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে এখন হাফেজা মারজুকা। কুয়াকাটার আলিপুর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসায় এখন শুনানি করছেন শিশু মারজুকা ।

ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী নামাজ শেষে আল হুদা মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের তালিম দেন শিক্ষিকা। সকালের ছবকের ক্ষেত্রে সময় খেপন হলেও মাজুকের ক্ষেত্র ছিল ভিন্ন । অদম্য মেধাবীর কারণে প্রতি দিন অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া দিতেন । এ বছরে দশজন শিক্ষার্থী হাফেজার বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার ভিতরে কনিষ্ঠ হাফেজা মারজুকা। বিদায় সংবর্ধনায় আশা শিশু মেধাবী মারজুকার পরিবার ও শিক্ষকরা এভাবেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন ।

কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলে সাগর পাড়ে কম বয়সী কোরআন মুখস্ত কারী এই হাফেজা কে নিয়ে তার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের কি স্বপ্ন তা এমনটাই ব্যক্ত করেন । আমার মারজুকা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ইনশাল্লাহ আমি চাই আগামী দিনগুলোতে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় মানুষের মাঝে দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে।

শিশু মেধাবী মারজুকা জানান, ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় আলেমা হবেন ।

আলহুদা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার মাদ্রাসা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী মারজুকা । ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখছি সে অনেক মেধাবী অল্পতেই সে মুখস্ত করে ফেলতে পারে। ওর জন্য দোয়া করি ও যেন ভালো হাফেজা হয়ে বিশ্বজয় করতে পারে।

মাত্র ১০ বছর বয়সী ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত কারী হাফেজা ছোট্ট এ মারজুকা দ্বীনি এলেম শিক্ষা করে ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্ব গ্রন্থ আল কোরআনের বাণী। এমন প্রত্যাশা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কুয়াকাটায় মাত্র ১১ মাসে হাফেজা হলেন শিশু মারজুকা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা প্রতিনিধি : 

বাবা মা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে মোসাঃ মারজুকা বড়। শিশু থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। ১০ বছর বয়সী শিশু মারজুকা তার সাফল্যতায় শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার ও এলাকাবাসীর সবার মাঝে প্রশংসায় ভাসছেন। ভর্তি হওয়ার পর নাজেরা শেষ করে মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে এখন হাফেজা মারজুকা। কুয়াকাটার আলিপুর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসায় এখন শুনানি করছেন শিশু মারজুকা ।

ভোরের সূর্য উঁকি দেয়ার আগেই নিয়ম অনুযায়ী নামাজ শেষে আল হুদা মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের তালিম দেন শিক্ষিকা। সকালের ছবকের ক্ষেত্রে সময় খেপন হলেও মাজুকের ক্ষেত্র ছিল ভিন্ন । অদম্য মেধাবীর কারণে প্রতি দিন অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া দিতেন । এ বছরে দশজন শিক্ষার্থী হাফেজার বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার ভিতরে কনিষ্ঠ হাফেজা মারজুকা। বিদায় সংবর্ধনায় আশা শিশু মেধাবী মারজুকার পরিবার ও শিক্ষকরা এভাবেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন ।

কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলে সাগর পাড়ে কম বয়সী কোরআন মুখস্ত কারী এই হাফেজা কে নিয়ে তার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের কি স্বপ্ন তা এমনটাই ব্যক্ত করেন । আমার মারজুকা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ইনশাল্লাহ আমি চাই আগামী দিনগুলোতে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় মানুষের মাঝে দ্বীনি শিক্ষা দিয়ে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে।

শিশু মেধাবী মারজুকা জানান, ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় আলেমা হবেন ।

আলহুদা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার মাদ্রাসা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী মারজুকা । ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখছি সে অনেক মেধাবী অল্পতেই সে মুখস্ত করে ফেলতে পারে। ওর জন্য দোয়া করি ও যেন ভালো হাফেজা হয়ে বিশ্বজয় করতে পারে।

মাত্র ১০ বছর বয়সী ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত কারী হাফেজা ছোট্ট এ মারজুকা দ্বীনি এলেম শিক্ষা করে ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্ব গ্রন্থ আল কোরআনের বাণী। এমন প্রত্যাশা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।