কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে এক তরুণী।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে উপজেলার হেসাখাল ইউপির উরুকচাউল গ্রামের প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই তরুণী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, উপজেলার উরুকচাউল গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বালিয়া ইউপির বালিয়া গ্রামের রশিদ মিয়ার মেয়ে রাশিদা খাতুনের (২০) ছয় মাস আগে অপরিচিত নাম্বারে পরিচয় হয়। কথা বলতে বলতে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমে টানে দুজন ছুটে আসেন রাজধানী ঢাকায়। সেখানে উভয়ের মধ্যে হয় শারীরিক সম্পর্ক। এ ছাড়া তাদের বিবাহবহির্ভূত একাধিকবার মিলন হয়।
তারপর পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আরিফের বাড়িতে আসলে বাড়ি থেকে উভয়কে বের করে দেন আরিফের বাবা। সেখান থেকে প্রেমিকা রাশিদার বাড়িতে গেলে সেখানেও ঠাঁই হয়নি এই নবদম্পতির। পরে সোমবার আরিফ রাশিদাকে নিয়ে এসে নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনে রেখে পালিয়ে যান। পরে ওই নববধূ আবার আরিফের বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় আরিফের পরিবার নববধূকে বাড়ি থেকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
নববধূ রাশিদা উপায় না পেয়ে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশনে বসেন। গেল চার দিন নববধূ পার্শ্ববর্তী আলমগীরের বাড়িতে রাতে আশ্রয় নেন। আরিফ পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অনশনরত তরুণী বলেন, ৬ মাস আগে রং নম্বরে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। তারপর দেখা করতে তারা দুজন ঢাকায় আসেন। পরে আরিফের সঙ্গে তার বাড়িতে যান। সেখানে আরিফের পিতা মাতা তাদের দুজনকে বের করে দেন। শেষে আরিফ তাকে সঙ্গে নিয়ে রেলস্টেশনে আসেন। তাকে স্টেশনে রেখে আরিফ পালিয়ে যায়। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অনশনে বসেছেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে আরিফের মা সেলিনা বেগম বলেন, তার ছেলে পলাতক। এ মেয়ের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। মেয়েটি ধান্দাবাজ। যদি বিয়ের প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে স্ত্রী হিসেবে তাকে মেনে নেবেন তারা।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, অনশনের বিষয়টি কেউ তাকে জানায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। মেয়েটি ছেলের বাড়িতে চলে এসেছে। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।