কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। দায়ের করা অভিযোগপত্রে আতিকুর রহমান শিপন (ভুক্তভোগী নারীর স্বামী), মো. ইয়াছিন এবং মোহসিন জামিলকে সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, রোববার (৫ অক্টোবর) দুর্গা পূজার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার উদ্দেশ্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেন ওই শিক্ষার্থী। পরে মনতলা রেলস্টেশনে আসলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়াও আরও কয়েকজন এসে তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। তাদের বাজে আচরণে আপত্তি জানালে আরও খারাপ ভাষায় গালাগালি এবং উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিকেল পাঁচটার দিকে দূর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছা সাকিনস্থ রেলস্টেশনে তানভীর হোসেন নাজিম অন্যান্যদের সহায়তায় যৌন হয়রানির উদ্দেশ্যে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এ নিয়ে অভিযোগের অন্যতম সাক্ষী এবং ভুক্তভোগীর স্বামী আতিকুর রহমান শিপন বলেন, ট্রেনে ওঠার পর কিছু ছেলে আমার এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে বাজে আচরণ করতে থাকে। তাদের মানা করলে তারা উল্টো আরও আমাদের হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। পরে রেলওয়ে পুলিশ এবং থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়।
এ নিয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছিলাম ট্রেনে কিছু ছেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করছে। এটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সহায়তায় আমরা ৫ জনকে আটক করি। বিষয়টি যেহেতু ট্রেনে তাই আমরা অভিযোগটি লাকসাম রেলওয়ে থানায় দায়ের করার জন্য বলেছি।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রোববার (৫ অক্টোবর) ট্রেনে একটি মেয়েকে ইভ টিজিংকে ঘিরে একটি অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে। এখন বিষয়টি তদন্ত হবে। সাক্ষী এবং অভিযুক্তদের থেকে শুনে বিচার নিশ্চিত করা হবে।