Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে খানাখন্দে বেহাল সড়ক

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রী-চালকদের পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই, আহত হয়ে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছেন কেউ কেউ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কটিয়াদী পৌর সদরের কামারকোনা এলাকা থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাজিতপুরের পিরিজপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে যাতায়াতে সৃষ্টি হয় বিঘ্নতা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লেগে থাকে ছোট-বড় জ্যাম। যাত্রীদের পড়তে হয় দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তিতে।

চলাচলে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। সেই সময়ের ঘাটতি মেটাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রায়শই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়াও সড়কে ছোট-বড় গর্তের ফলে প্রায়ই মালবাহী ট্রাক উল্টে রাস্তায় কিংবা খাদে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত ও কার্পেটিং করার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করে কিশোরগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমোদন পায়। ৫৬ কিলোমিটার রাস্তার জন্য দুটি প্রকল্পে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। দুই বছর না যেতেই গড়হিসাবি কাজের ফলে কার্পেটিং উঠে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সড়কের বেশকিছু স্থান দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

সড়কে যাতায়াতকারী চালকেরা জানান, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব এই আঞ্চলিক সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয় সড়কটি। দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশার ফলে তাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এসব ছোট-বড় গর্ত দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে প্রায়ই মালবাহী গাড়ি উল্টে যায়।

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেষ বড়ুয়া জানান, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে কটিয়াদী থেকে পিরিজপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ রয়েছে। সেটা মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে এই সড়কে কাজ শুরু হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে খানাখন্দে বেহাল সড়ক

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রী-চালকদের পোহাতে হচ্ছে ব্যাপক ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই, আহত হয়ে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছেন কেউ কেউ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কটিয়াদী পৌর সদরের কামারকোনা এলাকা থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাজিতপুরের পিরিজপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে যাতায়াতে সৃষ্টি হয় বিঘ্নতা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লেগে থাকে ছোট-বড় জ্যাম। যাত্রীদের পড়তে হয় দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তিতে।

চলাচলে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। সেই সময়ের ঘাটতি মেটাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রায়শই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়াও সড়কে ছোট-বড় গর্তের ফলে প্রায়ই মালবাহী ট্রাক উল্টে রাস্তায় কিংবা খাদে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্ত ও কার্পেটিং করার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করে কিশোরগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমোদন পায়। ৫৬ কিলোমিটার রাস্তার জন্য দুটি প্রকল্পে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে। দুই বছর না যেতেই গড়হিসাবি কাজের ফলে কার্পেটিং উঠে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সড়কের বেশকিছু স্থান দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

সড়কে যাতায়াতকারী চালকেরা জানান, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব এই আঞ্চলিক সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় পার্শ্ববর্তী সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয় সড়কটি। দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশার ফলে তাদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এসব ছোট-বড় গর্ত দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে প্রায়ই মালবাহী গাড়ি উল্টে যায়।

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেষ বড়ুয়া জানান, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে কটিয়াদী থেকে পিরিজপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ রয়েছে। সেটা মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে এই সড়কে কাজ শুরু হবে।