Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের ইটনায় স্ত্রী হত্যায় সোহেল মিয়া (২৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২০ সালে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য আলাল মিয়া যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র দেন। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার শুরু করলে ভ্যান কেনার জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন।

এরপর পুনরায় এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে দিতে অপারগতা জানান সাবিনা আক্তার। এরই জেরে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে বসতবাড়ির উত্তর পাশের জাম্বুরা গাছের নিচে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওইদিন সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া সাবিনার স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে অভিযুক্ত করে ইটনা থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট তৎকালীন ইটনার থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব সোহেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কিশোরগঞ্জের ইটনায় স্ত্রী হত্যায় সোহেল মিয়া (২৩) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২০ সালে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য আলাল মিয়া যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র দেন। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার শুরু করলে ভ্যান কেনার জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন।

এরপর পুনরায় এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে দিতে অপারগতা জানান সাবিনা আক্তার। এরই জেরে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে বসতবাড়ির উত্তর পাশের জাম্বুরা গাছের নিচে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওইদিন সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া সাবিনার স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে অভিযুক্ত করে ইটনা থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট তৎকালীন ইটনার থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব সোহেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।