Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিছু দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে : তারেক রহমান

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : 

কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্ত হয়ে কিছু কথা বলেছেন। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া দেশের মানুষ হয়ে বাইরে থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ। দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।

দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জনগণের সরকার দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাস্তা একটি। এজন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী খুন গুম মামলার শিকার হয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়েছে। কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি। এজন্য আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।

তারেক রহমান বলেন, আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি উৎপাদন, উন্নয়নের রাজনীতি। বিএনপির চায় দেশের প্রতিটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। সম্ভাবনাগুলোকে বের করে আনতে চাই। আমি ৬ হাজার মাইল দূরে থাকেলও আমার মনটা পড়ে থাকে বাংলাদেশে।

তিনি আরো বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার, জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

তারেক রহমান বলেন, সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষের ঘের কেদ্রিক বেড়িবাঁধ নিয়ে যে আতঙ্ক, সেই আতঙ্ককে কাটাতে বাধটি শক্ত ও মজবুত করতে চাই। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলার সম্ভবনা আছে, সেগুলো বের করে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এই মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৭ বার ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার তার উত্তরসূরি তারেক রহমান আজ এই মাঠে বক্তব্য দিয়েছেন। যিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।

আল্লাহর রহমতের ৭০ বছরে সাজা নিয়ে কারাগারে ছিলাম, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আমি মুক্ত বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আমার নেত্রী কোনো দিন পালননি, পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, আমার নেত্রী পালান না, তারেক রহমান আমার পরিবারের খোঁজখবর নিতেন যখন আমি কারাগারে ছিলাম। এজন্য তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আমি মিথ্যা মামলায় সাজা নিয়ে ভয় পাইনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে একই মামলায় কারাগারে থাকা ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদেরকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করছি। এর বিচার আল্লাহর কাছে দেন, হাসিনার বিচার দাবি করেন।

সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং এর কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

কিছু দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : 

কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্ত হয়ে কিছু কথা বলেছেন। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া দেশের মানুষ হয়ে বাইরে থেকে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ। দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।

দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জনগণের সরকার দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাস্তা একটি। এজন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী খুন গুম মামলার শিকার হয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়েছে। কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি। এজন্য আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।

তারেক রহমান বলেন, আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি উৎপাদন, উন্নয়নের রাজনীতি। বিএনপির চায় দেশের প্রতিটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। সম্ভাবনাগুলোকে বের করে আনতে চাই। আমি ৬ হাজার মাইল দূরে থাকেলও আমার মনটা পড়ে থাকে বাংলাদেশে।

তিনি আরো বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার, জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

তারেক রহমান বলেন, সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষের ঘের কেদ্রিক বেড়িবাঁধ নিয়ে যে আতঙ্ক, সেই আতঙ্ককে কাটাতে বাধটি শক্ত ও মজবুত করতে চাই। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলার সম্ভবনা আছে, সেগুলো বের করে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এই মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৭ বার ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার তার উত্তরসূরি তারেক রহমান আজ এই মাঠে বক্তব্য দিয়েছেন। যিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।

আল্লাহর রহমতের ৭০ বছরে সাজা নিয়ে কারাগারে ছিলাম, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আমি মুক্ত বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

তিনি বলেন, আমার নেত্রী কোনো দিন পালননি, পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, আমার নেত্রী পালান না, তারেক রহমান আমার পরিবারের খোঁজখবর নিতেন যখন আমি কারাগারে ছিলাম। এজন্য তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আমি মিথ্যা মামলায় সাজা নিয়ে ভয় পাইনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে একই মামলায় কারাগারে থাকা ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদেরকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করছি। এর বিচার আল্লাহর কাছে দেন, হাসিনার বিচার দাবি করেন।

সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং এর কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ।