নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য গত হওয়া এপ্রিল মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। এই মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের মাস মার্চে এর হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বুধবার (৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই তথ্য জানিয়েছে।
সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুই অংকের কাছাকাছি ছিল। মার্চের মতোই এপ্রিলেও এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্যে মূল্যস্ফীতি মার্চের ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ থেকে কমে এপ্রিলে হয় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বিবিএস তার পরিসংখ্যানে বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম অপরিবর্তিত আছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, গত মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশই ছিল।
সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে কোনো স্বস্তি নেই। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে বলে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন। অনেক পণ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কেজিতে ১০৪ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১০৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তবে রমজান মাসে ক্রেতাদের ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হয়েছে। এই সপ্তাহে ঢাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে এবার গ্রামের থেকে শহরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এপ্রিলে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, একই সময়ে শহরে এই হার ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি একদিকে কিছুটা কমেছে অন্যদিকে সামান্য বেড়েছে মজুরির হার। এপ্রিলে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে গত মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। সামান্য মজুরি সূচক বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি কমার ফলে জনমনে এপ্রিলে স্বস্তি এসেছে বলে দাবি বিবিএসের।