Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিংবদন্তি নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শোকাহত তারকারা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

‘মিয়া ভাই’ খ্যাত ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তি যোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দেশের সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফেসবুকের জমিনে তাকে নিয়ে লিখছেন শোকগাঁথা।

সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যুতে নায়ক অমিত হাসান লিখেছেন, না ফেরার দেশে চলে গেলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। আমাদের মিয়াভাই (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) (ইন্না-লিল্লাহে….রাজেউন) দীর্ঘদিন তিনি সিংগাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ মিয়া ভাইকে বেহেশত নসিব করুক।

মিশা সাওদাগর লিখেছেন, বিদায় ‘মিয়াভাই’ আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

নায়ক ফারুককে হারিয়ে অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছেন বলে জানিয়ে চিত্রনায়ক শাকিব খান তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যতদিন তিনি সুস্থ সবল তিনি ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন।

তিনি আরও লিখেছেন আমার যে কোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।

এ নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত চিত্রনায়ক শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফারুকের সিনেমা দেখেই চলচ্চিত্রে এসেছি। এখন আমরাও মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুণছি। কখন যে চলে যাই বুঝতে পারছি না। বলতে গেলে সবাই চলে যাচ্ছে। রাজ্জাক ভাই, ফারুক ভাই, জাফর ইকবাল- মানুষগুলো যখন ছিলো তখন চলচিত্রের সুদিন ছিল। আমি নিজেও ফারুক ভাইয়ের ছবি দেখে চলচ্চিত্রে এসেছি। ফারুক ভাই যেসকল ছবিতে অভিনয় করেছেন সেগুলো সত্যি অসাধারণ। কোনোভাবেই চিন্তা করা যায় না। কথার এক ফাঁকে বলেন, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে, নয়নমণি, লাঠিয়াল ছবিগুলো যে আবেদন সেগুলো সত্যি ভীষণ বাস্তব। চরিত্রগুলোকে মানুষ ভালোবাসতো। সেই সময় মানুষ এসব ছবির জন্যই হলে যেতো।

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুকে জয়া লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের আপামর মানুষ, চলচ্চিত্র জগৎ আজ স্তব্ধ। এক অমলিন শোকের ছায়া সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে। ফারুক ভাই চলে গেলেন। আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, নামটি-ই তো যথেষ্ট, নায়ক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংসদ, তার অবদানের পূর্ণতা তার জীবনের মতোই উজ্জ্বল। সেই উজ্জ্বলতাতেই তাকে মনে রাখব। জীবনের ওপারে, অসংখ্য কর্মে তার এক নতুন জীবন। মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন তিনি।

চিত্রনায়িকা রোজিনা সংবাদমাধ্যমকে রোজিনা বলেন, শুধু আমার নায়ক নন, ফারুক ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের অভিভাবক। আজ সকালে যখন তার চিরবিদায়ের খবরটি পেলাম কান্না চেপে রাখতে পারিনি। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্যতায় ভরে গেল। নায়ক বলি বা সহশিল্পী বলি, ফারুক ভাই সাংঘাতিক রকমের একজন কর্মঠ মানুষ। মুখের উপর সত্য কথাটা বলে দিতে পারতেন। এমন স্বভাবের মানুষ খুব কমই দেখিছি। চলচ্চিত্রের দুর্দিনে তিনিই তো হুংকার দিয়ে এফডিসিতে এগিয়ে এলেন। সবাইকে এক করে নতুন করে কাজের উদ্যম দিলেন।

চিত্রনায়িকা ববিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নায়ক ফারুকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় অনেক বছর আগে। শুনেছি ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সাহসী ও রাগী ছিলেন। তবে, শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। ক্যামেরার সামনে সত্যিই মাটির মানুষ হয়ে যেতেন। কীভাবে সংলাপ দিতে হবে, কীভাবে দৃশ্যটি আরও সুন্দর হবে—বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতেন। ফারুক ভাই অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুনেছিলাম অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কয়েক মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কী থেকে কী যে হয়ে গেল! প্রিয় মানুষটি আর নেই।

নিজের ফেসবুকে অঞ্জনা লিখেছেন, ‘কথাটা শোনার পরেই বুকের ভিতর ছ্যাত করে উঠল। চলে গেলেন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক, আমার অসংখ্য সুপার বাম্পারহিট চলচ্চিত্রের জননন্দিত মাটি ও মানুষের সফল চিত্রনায়ক ফারুক ভাই। আমার ৩য় মাইলস্টোন চলচ্চিত্র ‘মাটির মায়া’ ছায়াছবিতে প্রথম ফারুক ভাইয়ের সাথে আমার অভিনয়। এরপর অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কত মধুময় স্মৃতি যা ভেবে চোখ বারবার অশ্রুসিক্ত হয়ে যাচ্ছে কান্নায় বুক ভার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, ফারুক ভাই জীবদ্দশায় সবসময় বলতেন, এত চলচ্চিত্রে জীবনে অভিনয় করেছি কিন্তু ‘ফুলেশ্বরী’ আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র যার গান সবসময় আমি গুনগুন করি গাই। ‘নদী রে কত রঙ্গ দেখালি আমায়’, এই কথাগুলো কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। ফারক ভাই, আপনি বেঁচে থাকবেন আপনার অনবদ্য শ্রেষ্ঠ কর্মের মাধ্যমে।

নায়ক অমিত হাসান লিখেছেন: না ফেরার দেশে চলে গেলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। আমাদের মিয়াভাই (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) (ইন্না-লিল্লাহে….রাজেউন) দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ মিয়া ভাইকে বেহেশত নসিব করুক।

চিত্রনায়ক জায়েদ খান লিখেন: এতক্ষণ কিছু লিখিনি কারণ মনে হয়েছে আপনি বেঁচে আছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটা তো কথা ছিল না। বলেছিলেন জায়েদ আসতেছি আড্ডা হবে। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি নাই মিয়া ভাই।

নতুন প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী লিখেছেন, না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)।প্রায় পাঁচ দশক ধরে রূপালি পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক ভাই। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। আজ সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। তবে কথায় আছে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। আপনিও আজীবন বেঁচে থাকবেন আমাদের সবার হৃদয়ের পাতায়।

ফারুকের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম বলেছেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আমাদের ফারুক ভাই (আকবর হোসেন পাঠান)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। উনার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। ফারুক ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ ওনার সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করুন, আমিন।

চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘ভালো থাকবেন মিয়া ভাই। বাংলার সকল দর্শকের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন আপনি। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ বললেন, কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করুন, আমিন।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী শোক জানিয়ে লেখেন, বিদায় নায়ক ফারুক, বিনম্র শ্রদ্ধা, আপনার আত্মার শান্তি হোক। অভিনেত্রী তারিন জাহান গভীর শোক প্রকাশ করে লেখেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ ঘণ্টা দুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ভাই।

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল শোক জানিয়ে লেখেন, প্রায় পাঁচ দশক ঢালিউডে অবদান রাখা ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (আমাদের ফারুক ভাই)। এই র্কীতিমান মহান মানুষটির প্রয়াণে গভীর শোক ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

চিত্রনায়ক ওমর সানি প্রিয় নায়ককে হারিয়ে লেখেন, আল্লাহ আমাদের লিজেন্ড ফারুক ভাইকে জান্নাত নসিব করুন।

মডেল ও অভিনেতা নিরব লিখেছেন, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

অভিনেত্রী শাহনূর লিখেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রের আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই নায়ক, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (এম.পি) আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে ২০২৩ তারিখ (সোমবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ, মিয়া ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমীন।

অভিনেত্রী রিয়ানা পারভিন পলি লিখেছেন, দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ সকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম লিখেছেন, জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ বীর সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অভিনেতা ফারুক দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আট বছর ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিবিদ। নায়ক ফারুক সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। পরীক্ষায় রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি।

উল্লেখ, নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমায় তার যাত্রা শুরু হয়। তার প্রথম সিনেমায় তার কবরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এরপর ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ দুটি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন ফারুক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

কিংবদন্তি নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শোকাহত তারকারা

প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

‘মিয়া ভাই’ খ্যাত ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তি যোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দেশের সিনেমাপ্রেমীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফেসবুকের জমিনে তাকে নিয়ে লিখছেন শোকগাঁথা।

সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যুতে নায়ক অমিত হাসান লিখেছেন, না ফেরার দেশে চলে গেলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। আমাদের মিয়াভাই (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) (ইন্না-লিল্লাহে….রাজেউন) দীর্ঘদিন তিনি সিংগাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ মিয়া ভাইকে বেহেশত নসিব করুক।

মিশা সাওদাগর লিখেছেন, বিদায় ‘মিয়াভাই’ আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

নায়ক ফারুককে হারিয়ে অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছেন বলে জানিয়ে চিত্রনায়ক শাকিব খান তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যতদিন তিনি সুস্থ সবল তিনি ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন।

তিনি আরও লিখেছেন আমার যে কোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।

এ নায়কের মৃত্যুতে শোকাহত চিত্রনায়ক শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফারুকের সিনেমা দেখেই চলচ্চিত্রে এসেছি। এখন আমরাও মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুণছি। কখন যে চলে যাই বুঝতে পারছি না। বলতে গেলে সবাই চলে যাচ্ছে। রাজ্জাক ভাই, ফারুক ভাই, জাফর ইকবাল- মানুষগুলো যখন ছিলো তখন চলচিত্রের সুদিন ছিল। আমি নিজেও ফারুক ভাইয়ের ছবি দেখে চলচ্চিত্রে এসেছি। ফারুক ভাই যেসকল ছবিতে অভিনয় করেছেন সেগুলো সত্যি অসাধারণ। কোনোভাবেই চিন্তা করা যায় না। কথার এক ফাঁকে বলেন, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে, নয়নমণি, লাঠিয়াল ছবিগুলো যে আবেদন সেগুলো সত্যি ভীষণ বাস্তব। চরিত্রগুলোকে মানুষ ভালোবাসতো। সেই সময় মানুষ এসব ছবির জন্যই হলে যেতো।

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুকে জয়া লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের আপামর মানুষ, চলচ্চিত্র জগৎ আজ স্তব্ধ। এক অমলিন শোকের ছায়া সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে। ফারুক ভাই চলে গেলেন। আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, নামটি-ই তো যথেষ্ট, নায়ক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংসদ, তার অবদানের পূর্ণতা তার জীবনের মতোই উজ্জ্বল। সেই উজ্জ্বলতাতেই তাকে মনে রাখব। জীবনের ওপারে, অসংখ্য কর্মে তার এক নতুন জীবন। মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন তিনি।

চিত্রনায়িকা রোজিনা সংবাদমাধ্যমকে রোজিনা বলেন, শুধু আমার নায়ক নন, ফারুক ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের অভিভাবক। আজ সকালে যখন তার চিরবিদায়ের খবরটি পেলাম কান্না চেপে রাখতে পারিনি। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্যতায় ভরে গেল। নায়ক বলি বা সহশিল্পী বলি, ফারুক ভাই সাংঘাতিক রকমের একজন কর্মঠ মানুষ। মুখের উপর সত্য কথাটা বলে দিতে পারতেন। এমন স্বভাবের মানুষ খুব কমই দেখিছি। চলচ্চিত্রের দুর্দিনে তিনিই তো হুংকার দিয়ে এফডিসিতে এগিয়ে এলেন। সবাইকে এক করে নতুন করে কাজের উদ্যম দিলেন।

চিত্রনায়িকা ববিতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নায়ক ফারুকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় অনেক বছর আগে। শুনেছি ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সাহসী ও রাগী ছিলেন। তবে, শিল্পীজীবনে তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। ক্যামেরার সামনে সত্যিই মাটির মানুষ হয়ে যেতেন। কীভাবে সংলাপ দিতে হবে, কীভাবে দৃশ্যটি আরও সুন্দর হবে—বিষয়গুলো নিয়ে তিনি ভাবতেন। ফারুক ভাই অনেকদিন ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুনেছিলাম অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কয়েক মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কী থেকে কী যে হয়ে গেল! প্রিয় মানুষটি আর নেই।

নিজের ফেসবুকে অঞ্জনা লিখেছেন, ‘কথাটা শোনার পরেই বুকের ভিতর ছ্যাত করে উঠল। চলে গেলেন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক, আমার অসংখ্য সুপার বাম্পারহিট চলচ্চিত্রের জননন্দিত মাটি ও মানুষের সফল চিত্রনায়ক ফারুক ভাই। আমার ৩য় মাইলস্টোন চলচ্চিত্র ‘মাটির মায়া’ ছায়াছবিতে প্রথম ফারুক ভাইয়ের সাথে আমার অভিনয়। এরপর অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কত মধুময় স্মৃতি যা ভেবে চোখ বারবার অশ্রুসিক্ত হয়ে যাচ্ছে কান্নায় বুক ভার হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, ফারুক ভাই জীবদ্দশায় সবসময় বলতেন, এত চলচ্চিত্রে জীবনে অভিনয় করেছি কিন্তু ‘ফুলেশ্বরী’ আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র যার গান সবসময় আমি গুনগুন করি গাই। ‘নদী রে কত রঙ্গ দেখালি আমায়’, এই কথাগুলো কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। ফারক ভাই, আপনি বেঁচে থাকবেন আপনার অনবদ্য শ্রেষ্ঠ কর্মের মাধ্যমে।

নায়ক অমিত হাসান লিখেছেন: না ফেরার দেশে চলে গেলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। আমাদের মিয়াভাই (আকবর হোসেন পাঠান ফারুক) (ইন্না-লিল্লাহে….রাজেউন) দীর্ঘদিন তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ মিয়া ভাইকে বেহেশত নসিব করুক।

চিত্রনায়ক জায়েদ খান লিখেন: এতক্ষণ কিছু লিখিনি কারণ মনে হয়েছে আপনি বেঁচে আছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটা তো কথা ছিল না। বলেছিলেন জায়েদ আসতেছি আড্ডা হবে। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি নাই মিয়া ভাই।

নতুন প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী লিখেছেন, না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)।প্রায় পাঁচ দশক ধরে রূপালি পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক ভাই। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। আজ সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেছে অনেক দূরে। তবে কথায় আছে কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। আপনিও আজীবন বেঁচে থাকবেন আমাদের সবার হৃদয়ের পাতায়।

ফারুকের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম বলেছেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আমাদের ফারুক ভাই (আকবর হোসেন পাঠান)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। উনার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। ফারুক ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ ওনার সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করুন, আমিন।

চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘ভালো থাকবেন মিয়া ভাই। বাংলার সকল দর্শকের মনে চিরকাল বেঁচে থাকবেন আপনি। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ বললেন, কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করুন, আমিন।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী শোক জানিয়ে লেখেন, বিদায় নায়ক ফারুক, বিনম্র শ্রদ্ধা, আপনার আত্মার শান্তি হোক। অভিনেত্রী তারিন জাহান গভীর শোক প্রকাশ করে লেখেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ ঘণ্টা দুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ভাই।

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল শোক জানিয়ে লেখেন, প্রায় পাঁচ দশক ঢালিউডে অবদান রাখা ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (আমাদের ফারুক ভাই)। এই র্কীতিমান মহান মানুষটির প্রয়াণে গভীর শোক ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

চিত্রনায়ক ওমর সানি প্রিয় নায়ককে হারিয়ে লেখেন, আল্লাহ আমাদের লিজেন্ড ফারুক ভাইকে জান্নাত নসিব করুন।

মডেল ও অভিনেতা নিরব লিখেছেন, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

অভিনেত্রী শাহনূর লিখেছেন, বাংলা চলচ্চিত্রের আমাদের প্রিয় মিয়া ভাই নায়ক, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (এম.পি) আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ ১৫ মে ২০২৩ তারিখ (সোমবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ, মিয়া ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমীন।

অভিনেত্রী রিয়ানা পারভিন পলি লিখেছেন, দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ সকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা ১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম লিখেছেন, জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ বীর সন্তানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অভিনেতা ফারুক দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আট বছর ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিবিদ। নায়ক ফারুক সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। পরীক্ষায় রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি।

উল্লেখ, নায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমায় তার যাত্রা শুরু হয়। তার প্রথম সিনেমায় তার কবরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এরপর ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ দুটি সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন ফারুক।