Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালাইয়ে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি নিহত

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি সাইফুল (৪৫) নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টায় কালাই উপজেলার পাঁচপাইকা সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুলাভাই সহিফুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের আপসোন গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। আর ঘাতক শ্যালক জুয়েল রানা (৩২) পুনট পাঁচপাইকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জলিল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক জুয়েলের বাবা আবুল কাশেম পারিবারিক বিষয়ে আজ সকালে তার তিন জামাই ও ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। সেখানে ছেলে জুয়েলের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনার একপর্যায়ে জুয়েলকে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে তার দুলাভাইকে গালিগালাজ করতে থাকে। জুয়েল বাড়ির বাইরে আসতে চাইলে তিন দুলাভাই তাকে বাধা দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে ঘরের ভেতরে গেলে তখন তার দুলাভাইরাও ঘরে যান। এ সময় জুয়েল হাতে একটি চাকু নিয়ে ঘরের ভেতরেই সবার সামনেই তার দুলাভাই সহিফুল ইসলামকে বগলের নিচে আঘাত করে। সাথে সাথে তিনি মাটিতে পড়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জনগণ উত্তেজিত হয়ে জুয়েলকে খুঁজতে থাকে। এরপর জুয়েল পালানোর সময় মাঠ থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা জুয়েলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি গরু, খাদ্যসামগ্রী ও আসবাবপত্র লুট করে।

নিহতের চাচা আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, আমার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, ঘাতককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

কালাইয়ে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি নিহত

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে শ্যালকের ছুরিকাঘাতে ভগ্নিপতি সাইফুল (৪৫) নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টায় কালাই উপজেলার পাঁচপাইকা সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুলাভাই সহিফুল ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের আপসোন গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। আর ঘাতক শ্যালক জুয়েল রানা (৩২) পুনট পাঁচপাইকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের জলিল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক জুয়েলের বাবা আবুল কাশেম পারিবারিক বিষয়ে আজ সকালে তার তিন জামাই ও ছেলেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। সেখানে ছেলে জুয়েলের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনার একপর্যায়ে জুয়েলকে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে তার দুলাভাইকে গালিগালাজ করতে থাকে। জুয়েল বাড়ির বাইরে আসতে চাইলে তিন দুলাভাই তাকে বাধা দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে ঘরের ভেতরে গেলে তখন তার দুলাভাইরাও ঘরে যান। এ সময় জুয়েল হাতে একটি চাকু নিয়ে ঘরের ভেতরেই সবার সামনেই তার দুলাভাই সহিফুল ইসলামকে বগলের নিচে আঘাত করে। সাথে সাথে তিনি মাটিতে পড়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জনগণ উত্তেজিত হয়ে জুয়েলকে খুঁজতে থাকে। এরপর জুয়েল পালানোর সময় মাঠ থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা জুয়েলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি গরু, খাদ্যসামগ্রী ও আসবাবপত্র লুট করে।

নিহতের চাচা আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, আমার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, ঘাতককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।