Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারো প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিদেশিদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা অন্যদের পরামর্শ শুনব। কিন্তু কারো নির্দেশে এদেশে নির্বাচন হবে না।

ভোট নিয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ হস্তক্ষেপ তো করছে না। তারা পরামর্শ তো দিচ্ছে না। যার যার চিন্তা ভাবনা জানাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনবো এবং পরামর্শও নেবো। কিন্তু আমরা কারো নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকবো সেটি ভাবার কারণ নেই।

তিনি বলেন, অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কথা শুনবো, কথা বিনিময় হবে। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ বিরোধী কণ্ঠ। বাংলাদেশে বিরোধীদলের ব্যর্থতার সীমা নেই। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলনেও তেমন। ১০ ডিসেম্বর তো দখল করে ফেলেছিল যে ১১ তারিখ থেকে খালেদা জিয়ার হাতে দেশ থাকবে- এমন অনেক লাগামছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা। বাংলাদেশে এমন একটি সরকার বর্তমানে রয়েছে যারা কিছু লুকাচ্ছে না। বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে?

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি সরকার বর্তমানে রয়েছে, যারা কিছু লুকাচ্ছে না। বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে? ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলতে পারেন। জিয়াউর রহমান যখন দেশের প্রেসিডেন্ট, তখন রংপুরে অভাবের তাড়নায় ২০০ নারী পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের দৃশ্যপট এখনও দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি।

তিনি বলেন, শুনেছি তারা ৩৬ দলের রূপরেখা একদফা আন্দোলন করবে। সেটি এখনো শুরু হয়নি। শুরু হতে কত দল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটা দেখার বিষয়। কত দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি, ৩৬ পার্টির মধ্যে দরকষাকষি চলছে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বছর ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও ঘরমুখো মানুষের জন্য যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনার হারও কম হয়েছে এখন পর্যন্ত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য কিছু কিছু জায়গায় যানবাহনের ধীরগতি ছিল। তবে সার্বিকভাবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কম হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি সমন্বিত উদ্যোগ নিলে এসব সমস্যা আরও কাটানো যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের দিনে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেদিন ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। এতে বোঝা যায় মানুষের মনে আনন্দ আছে, তারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছে।

কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা হওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজারের ওপর কারো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সব সময় থাকে না। এটা ওঠানামা করে।

আপনাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না? প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাংলাদেশের বাজারে আপনাকে ফিক্সড করে দেওয়া হয় নাই যে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না, যেটা উন্নত দেশগুলোতে হচ্ছে।

উন্নত দেশগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, আপনারা আনতে পারেননি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তেলের দাম ১০ টাকা কমেছে, পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমাদের কমেনি কে বলল। কোনোটা কমেছে, কোনোটা বাড়ছে, ঠিক হয়ে যাবে। শুনেন, বাইরে থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলা যায়। ক্ষমতার মঞ্চে যখন বসবেন, তখন কত ধানে কত চাল, এটা বুঝবেন। এ দেশের মানুষকে আমরা কষ্টে থাকতে দেব না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো সাধারণ মানুষের জীবনটাকে স্বস্তিদায়ক করা। এখন যে সমস্যা চলছে তা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের জীবনযাত্রা স্বস্তিদায়ক করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা সেটা করছি।

এ সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে আমরা চলে আসছি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক সংকট চলছে। তাই বড় বড় প্রকল্পে এই মুহূর্তে হাত দেওয়া যাবে না। এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে জিনিসপত্রের দামের ওপর, যাতে সাধারণ মানুষের জীবনটা স্বস্তিদায়ক হয়।

এখন নতুন করে কোনও প্রকল্পে হাত দেবো না মন্তব্য করে তিনি বলেন, অক্টোবরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী টানেল সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন একটা ভোগান্তির কারণ। এটার কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারের এই মেয়াদেই এটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী এটা নির্দেশনা দিয়েছেন। যেসব ফোর লেনের কাজ চলমান সেগুলো শুধু এগিয়ে যাবে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এমআরটি লাইন-৫-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

কারো প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কারো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিদেশিদের বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। আমরা অন্যদের পরামর্শ শুনব। কিন্তু কারো নির্দেশে এদেশে নির্বাচন হবে না।

ভোট নিয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ হস্তক্ষেপ তো করছে না। তারা পরামর্শ তো দিচ্ছে না। যার যার চিন্তা ভাবনা জানাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। আমরা কথা শুনছি, কথা আমরা শুনবো এবং পরামর্শও নেবো। কিন্তু আমরা কারো নির্দেশ বা নিয়ন্ত্রণে থাকবো সেটি ভাবার কারণ নেই।

তিনি বলেন, অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কথা শুনবো, কথা বিনিময় হবে। কিন্তু নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ বিরোধী কণ্ঠ। বাংলাদেশে বিরোধীদলের ব্যর্থতার সীমা নেই। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলনেও তেমন। ১০ ডিসেম্বর তো দখল করে ফেলেছিল যে ১১ তারিখ থেকে খালেদা জিয়ার হাতে দেশ থাকবে- এমন অনেক লাগামছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা। বাংলাদেশে এমন একটি সরকার বর্তমানে রয়েছে যারা কিছু লুকাচ্ছে না। বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে?

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি সরকার বর্তমানে রয়েছে, যারা কিছু লুকাচ্ছে না। বাংলাদেশে কি খাদ্যের অভাবে কেউ মারা গেছে? ফখরুল সাহেব অনেক কথা বলতে পারেন। জিয়াউর রহমান যখন দেশের প্রেসিডেন্ট, তখন রংপুরে অভাবের তাড়নায় ২০০ নারী পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছেন। এ ধরনের দৃশ্যপট এখনও দেখা দেয়নি। আমরা সচেতন আছি।

তিনি বলেন, শুনেছি তারা ৩৬ দলের রূপরেখা একদফা আন্দোলন করবে। সেটি এখনো শুরু হয়নি। শুরু হতে কত দল এখান থেকে কেটে পড়ে সেটা দেখার বিষয়। কত দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটি দেখার বিষয়। আমরা খবর পেয়েছি, ৩৬ পার্টির মধ্যে দরকষাকষি চলছে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বছর ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও ঘরমুখো মানুষের জন্য যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনার হারও কম হয়েছে এখন পর্যন্ত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য কিছু কিছু জায়গায় যানবাহনের ধীরগতি ছিল। তবে সার্বিকভাবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কম হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি সমন্বিত উদ্যোগ নিলে এসব সমস্যা আরও কাটানো যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের দিনে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেদিন ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। এতে বোঝা যায় মানুষের মনে আনন্দ আছে, তারা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছে।

কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা হওয়া প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাজারের ওপর কারো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সব সময় থাকে না। এটা ওঠানামা করে।

আপনাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না? প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সবই নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাংলাদেশের বাজারে আপনাকে ফিক্সড করে দেওয়া হয় নাই যে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না, যেটা উন্নত দেশগুলোতে হচ্ছে।

উন্নত দেশগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, আপনারা আনতে পারেননি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তেলের দাম ১০ টাকা কমেছে, পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমাদের কমেনি কে বলল। কোনোটা কমেছে, কোনোটা বাড়ছে, ঠিক হয়ে যাবে। শুনেন, বাইরে থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলা যায়। ক্ষমতার মঞ্চে যখন বসবেন, তখন কত ধানে কত চাল, এটা বুঝবেন। এ দেশের মানুষকে আমরা কষ্টে থাকতে দেব না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো সাধারণ মানুষের জীবনটাকে স্বস্তিদায়ক করা। এখন যে সমস্যা চলছে তা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের জীবনযাত্রা স্বস্তিদায়ক করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা সেটা করছি।

এ সরকারের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে আমরা চলে আসছি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক সংকট চলছে। তাই বড় বড় প্রকল্পে এই মুহূর্তে হাত দেওয়া যাবে না। এখন আমাদের মনোযোগ দিতে হবে জিনিসপত্রের দামের ওপর, যাতে সাধারণ মানুষের জীবনটা স্বস্তিদায়ক হয়।

এখন নতুন করে কোনও প্রকল্পে হাত দেবো না মন্তব্য করে তিনি বলেন, অক্টোবরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী টানেল সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন একটা ভোগান্তির কারণ। এটার কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারের এই মেয়াদেই এটার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী এটা নির্দেশনা দিয়েছেন। যেসব ফোর লেনের কাজ চলমান সেগুলো শুধু এগিয়ে যাবে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এমআরটি লাইন-৫-এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।