নিজস্ব প্রতিবেদক :
কারো চোখ রাঙ্গানিতে আমরা ভয় পাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃ প্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে গাবতলী থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পদযাত্রা সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত। গাবতলী থেকে শুরু করে রায়সাব বাজার মোড় পর্যন্ত এত বর যে পদযাত্রা এই প্রথম। আমার আগে কখনো এর অভিজ্ঞতা ছিল না। সারা বিশ্বে এত বড় মিছিল কেউ কখনো করতে পারেনি। রাজনৈতিক মিছিল, গণতন্ত্র ফিরে পাবার মিছিল, অধিকারের মিছিল আজকে হয়েছে। জনগণ জবাব দিয়েছে। আমরা গ্রেফতার পছন্দ করি না, মারধোর পছন্দ করি না, আমরা পরিষ্কার ভোট চাই। কারো চোখ রাঙ্গানিতে আমরা ভয় পাই না।
তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায় করব। যারা এতো বড় মিছিল করতে পেরেছে, তারা এ সরকারের পদত্যাগ ঘটাতে পারবে। আগামীকালের মিছিল আরো বড় হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির পদযাত্রা দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আর আওয়ামী লীগের অশান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য দেশটাকে আরও লুটেপুটে খাওয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বলেন, বিশ্বে এতো বড় রাজনৈতিক মিছিল, মুক্তির মিছিল কেউ করতে পারে নাই। কারো চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাই না। বিএনপির এ পদযাত্রা আওয়ামী লীগের জন্য শোকযাত্রা। সারাদেশে আমাদের মিছিল হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। বাংলা কলেজের সামনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের লোকজন এমন গণধোলাই দিয়েছে পালিয়ে গেছে। যারা গণধোলাই দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যারা বাধা দিবে তাদের এমন হাল হবে।
আমরা গণমিছিল করছি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আর আপনারা কি করছেন শান্তি ও উন্নয়ন সোভা যাত্রা। এ শোভা যাত্রা আপনারা কার জন্য করছেন। আমরাতো মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য করছি। আর আমি বলব আপনারা শোভা যাত্রা করছেন আপনারা ক্ষমতায় থাকতে চান এজন্য। মানুষের রক্ত চুষে খাবার জন্য।
তিনি বলেন, জনগণের মুক্তি আদায়ের জন্য আজকে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় এই পদযাত্রা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আপনারা হামলা করেছেন। তবে পাল্টা হামলায় কিন্তু আপনারা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলা কলেজের সামনে কেমন দৌড়ানিটা খাইছেন ভাই। বিএনপির নেতারা তাদেরকে ভালো একটা দৌড়ানি দিছে। আর যারা দৌড়ানি দিছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে মোকাবেলা করব। কিন্তু আমরা কোন সন্ত্রাস করবো না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। তবে এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কেউ যদি বাধা দেয় তাকে আমরা ছাড়বো না।
ঢাকা ১৭ আসনের নির্বাচনের বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, গতকালের নির্বাচনে (ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন) হিরো আলমকে মেরেছে। কারণ, তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো ভোট নেই। তারা বলে ১২ পার্সেন্ট ভোট পড়ছে। তার মানে ১০ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছে আর বাকি ৯০ ভাগ ভোট বিএনপির ভোট। যে কারণে ভোট এত কম ছিল।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জৈষ্ঠ নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির অন্য নেতারা।