মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার এক আসামির সঙ্গে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাদীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী আসামি আশিষ বাউরী (৩৫) এবং বাদী কুঞ্জুমালের (২৫) বিয়ে সম্পন্ন হয়। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী একজন পুরোহিত তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার শাওন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আসামি আশিষ বাউরী মৌলভীবাজারের রাজনগরের উত্তরভাগ ইউনিয়নের ইন্দানগর চা বাগানের সদানন্দ বাউরীর ছেলে। পাত্রী কুঞ্জুমাল একই ইউনিয়নের মৃত মনীষা মালের মেয়ে।
জানা যায়, আশিষ ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট রাজনগর উপজেলার ইন্দানগর চা বাগানে কুঞ্জুমালকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ওই দিন তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগী কিশোরী গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে তার তিন মাসের একটি সন্তান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালত তাদের বিয়ের নির্দেশ দেন।
আসামির পরিবার জানান, আদালতের নির্দেশে এই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত বলেছেন, বিয়ের শর্তে এবং বিয়ের বৈধ প্রমাণাদি আদালতে দাখিলের পর আসামি আশিষ বাউরীকে জামিন দেওয়া হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সুজন কান্তি বিশ্বাস বলেন, হাইকোর্টের এ রায় বিচার ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক। এ রায়ের মাধ্যমে তিন ব্যক্তি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।
জেল সুপার মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ধর্মীয় নিয়ম মেনে হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে এ বিয়ে হয়েছে। আমরা নবদম্পতির উন্নত জীবন কামনা করি। তবে হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশনার পূর্ব পর্যন্ত আশিষ বাউরী কারাগারে থাকবেন বলে জানান তিনি।