নিজস্ব প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। যদি কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় আসেও, ওই সরকার বেশি দিন টিকবে না এ বিষয়ে আমাদের নজির আছে। তবে রাজনৈতিক দল হলে অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট। আগামী নির্বাচন ফ্রি এবং ফেয়ার করতে চায়। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন একটা সরকার চাইলেই গ্যারান্টি দেয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সব দল ও মতের আন্তরিকতা প্রয়োজন, না হলে সম্ভব না। আই ক্যান নট গ্যারান্টি পিসফুল নির্বাচন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পর্যবেক্ষক আসুক, দেখুক। তাদের স্বাগতম।
অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না, এমনকি ইংল্যান্ডেও যায় না। এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত, সেখানেও কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করলাম সেই দেশেও নির্বাচন অবজারভার যায় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা যদি বলেন এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না।
মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।