Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কামাল আমার খেলার সাথী, একসঙ্গে ছিলাম আন্দোলন-সংগ্রামেও : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন সংগ্রামও একসঙ্গে ছিলাম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।

শনিবার ( ৫ আগস্ট ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এ দেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল সব সময় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতো।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির উন্নতিতে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চার উন্নতিও দরকার। এ জন্য বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রতিভা কুড়িয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরিতে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

বিত্তশালীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জন্য আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। কারণ, অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না, অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করছি এবং এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে। খেলাধুলা একটা অনেক বয়স পর্যন্ত খেলতে পারে না। তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে? সেজন্য আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি, প্রাইভেট সেক্টর অনেক শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত তাদের যদি চাকরি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারাও তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই সুনাম বয়ে আনতে পারবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়বে। আমাদের ছেলেমেয়ের সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্যও আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা রয়েছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একবার আবাহনী ক্লাবের জন্য অ্যাডিডাস জুতা কিনতে চেয়েছিল শেখ কামাল। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কাগজে লিখে দাও। কারণ, আমি তো অত কিছু চিনি না। পরে কাগজে লিখে দিয়েছিল। আজও কাগজে শেখ কামালের অ্যাডিডাস লেখা আমার চোখের সামনে ভাসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামালের তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করত। খেলায় তার খুব মনোযোগ ছিল। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল শেখ কামালের।

তিনি বলেন, যখন শেখ কামালের বিয়ে হয়, তখন তার ছোট্ট একটি আপত্তি ছিল। তার কথা ছিল—আমি তো এখনও স্টুডেন্ট; কীভাবে বিয়ে করব? টাকা পাব কোথায়? ওই সময় আমার একটা গাড়ি ছিল। ওই গাড়িটা বিক্রি করেছিলাম। ওর নামে একটি অ্যাকাউন্ট করে কিছু টাকা দিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, বিয়ের পর তোমাকে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। অ্যাকাউন্টে যে টাকা থাকবে, তা খরচ করবে।

ভাইয়ের প্রশংসায় শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা সেটা ছিল প্রবল। কিন্তু কখনো কোনো নেতা হওয়ার চেষ্টা বা কোনো পদে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ব্যবসা-বাণিজ্য করে পয়সা বানানোর চিন্তা কখনো তার মাথায় ছিল না। বরং এ ব্যাপারে সে অত্যন্ত সতর্ক ছিল। পারিবারিক-সামাজিকভাবে সে অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কারণ আমার আব্বা তো বেশির ভাগ সময় ছিলেন জেল খানায়। সেই ছোট্ট বয়স থেকে মায়ের পাশে থেকে সংসারের কাজে কামাল সব সময় পাশে থাকতো। তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ছোট বেলা থেকে গড়ে উঠেছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমাকে হয়তো এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না।

শেখ কামাল পড়াশোনায়ও মনোযোগী ছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ও পড়াশোনার দিকে অত্যন্ত মনোনিবেশ করতো। আমাদের বাসায় তো সব সময় লোকজন ভরা থাকতো তারপরও তার পড়াশোনা সে চালিয়ে গেছে।

খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগামী। আজ খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। যার ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল শেখ কামাল। এতে কোনো সন্দেহ নাই। তার যে বহুমুখী প্রতিভা, এই বহুমুখী প্রতিভাটা বিকশিত হওয়ার আগেই চলে গেল এই পৃথিবী থেকে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত আবদুস সাদেক ও সাবিনা খাতুন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কামাল আমার খেলার সাথী, একসঙ্গে ছিলাম আন্দোলন-সংগ্রামেও : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন সংগ্রামও একসঙ্গে ছিলাম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।

শনিবার ( ৫ আগস্ট ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এ দেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল সব সময় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতো।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির উন্নতিতে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চার উন্নতিও দরকার। এ জন্য বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রতিভা কুড়িয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরিতে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

বিত্তশালীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জন্য আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। কারণ, অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না, অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করছি এবং এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে। খেলাধুলা একটা অনেক বয়স পর্যন্ত খেলতে পারে না। তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে? সেজন্য আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি, প্রাইভেট সেক্টর অনেক শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত তাদের যদি চাকরি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারাও তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই সুনাম বয়ে আনতে পারবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়বে। আমাদের ছেলেমেয়ের সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্যও আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা রয়েছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একবার আবাহনী ক্লাবের জন্য অ্যাডিডাস জুতা কিনতে চেয়েছিল শেখ কামাল। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি কাগজে লিখে দাও। কারণ, আমি তো অত কিছু চিনি না। পরে কাগজে লিখে দিয়েছিল। আজও কাগজে শেখ কামালের অ্যাডিডাস লেখা আমার চোখের সামনে ভাসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামালের তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করত। খেলায় তার খুব মনোযোগ ছিল। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল শেখ কামালের।

তিনি বলেন, যখন শেখ কামালের বিয়ে হয়, তখন তার ছোট্ট একটি আপত্তি ছিল। তার কথা ছিল—আমি তো এখনও স্টুডেন্ট; কীভাবে বিয়ে করব? টাকা পাব কোথায়? ওই সময় আমার একটা গাড়ি ছিল। ওই গাড়িটা বিক্রি করেছিলাম। ওর নামে একটি অ্যাকাউন্ট করে কিছু টাকা দিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, বিয়ের পর তোমাকে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। অ্যাকাউন্টে যে টাকা থাকবে, তা খরচ করবে।

ভাইয়ের প্রশংসায় শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা সেটা ছিল প্রবল। কিন্তু কখনো কোনো নেতা হওয়ার চেষ্টা বা কোনো পদে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ব্যবসা-বাণিজ্য করে পয়সা বানানোর চিন্তা কখনো তার মাথায় ছিল না। বরং এ ব্যাপারে সে অত্যন্ত সতর্ক ছিল। পারিবারিক-সামাজিকভাবে সে অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কারণ আমার আব্বা তো বেশির ভাগ সময় ছিলেন জেল খানায়। সেই ছোট্ট বয়স থেকে মায়ের পাশে থেকে সংসারের কাজে কামাল সব সময় পাশে থাকতো। তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ছোট বেলা থেকে গড়ে উঠেছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমাকে হয়তো এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না।

শেখ কামাল পড়াশোনায়ও মনোযোগী ছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ও পড়াশোনার দিকে অত্যন্ত মনোনিবেশ করতো। আমাদের বাসায় তো সব সময় লোকজন ভরা থাকতো তারপরও তার পড়াশোনা সে চালিয়ে গেছে।

খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগামী। আজ খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। যার ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল শেখ কামাল। এতে কোনো সন্দেহ নাই। তার যে বহুমুখী প্রতিভা, এই বহুমুখী প্রতিভাটা বিকশিত হওয়ার আগেই চলে গেল এই পৃথিবী থেকে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত আবদুস সাদেক ও সাবিনা খাতুন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

অনুষ্ঠানে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। এ অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।