Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কামড় খেয়ে জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে কৃষি খেতে কাজ করার সময় মিলন আলী (৪০) নামে এক কৃষককে কামড় দিয়েছে বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’। কামড় খেয়ে জীবিত অবস্থায় সাপটিকে ধরে বস্তায় ভরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ওই কৃষক।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে। মিলন পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাগুড়ি গ্রামের মো. তফজুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

মিলন আলী বলেন, সকাল থেকে পদ্মার চরে ক্ষেতে কাজ করছিলাম। এসময় একটি সাপ কামড় দেয়। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রাসেলস ভাইপার সাপটিকে দেখতে পান । পরে সাপটিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হয়েছে। এখন সুস্থ আছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মামুন কবির জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি একটি সাপের বাচ্চাসহ হাসপাতালে আসেন। এ সময় তাঁর পায়ের বিভিন্ন স্থানে শক্ত বাঁধন দেওয়া ছিল এবং তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত হাসপাতালে আসতে পারায় সাপের ধরন দেখে চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয়েছে।

বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তি আশঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে আরও ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মিলনকে ছোবল দেওয়া সাপটি একটি বাচ্চা সাপ এবং রাসেলস ভাইপার বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

কামড় খেয়ে জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে কৃষি খেতে কাজ করার সময় মিলন আলী (৪০) নামে এক কৃষককে কামড় দিয়েছে বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’। কামড় খেয়ে জীবিত অবস্থায় সাপটিকে ধরে বস্তায় ভরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ওই কৃষক।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে। মিলন পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাগুড়ি গ্রামের মো. তফজুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

মিলন আলী বলেন, সকাল থেকে পদ্মার চরে ক্ষেতে কাজ করছিলাম। এসময় একটি সাপ কামড় দেয়। আমার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রাসেলস ভাইপার সাপটিকে দেখতে পান । পরে সাপটিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হয়েছে। এখন সুস্থ আছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মামুন কবির জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি একটি সাপের বাচ্চাসহ হাসপাতালে আসেন। এ সময় তাঁর পায়ের বিভিন্ন স্থানে শক্ত বাঁধন দেওয়া ছিল এবং তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত হাসপাতালে আসতে পারায় সাপের ধরন দেখে চিকিৎসা দেওয়া সহজ হয়েছে।

বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তি আশঙ্কামুক্ত হলেও তাঁকে আরও ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মিলনকে ছোবল দেওয়া সাপটি একটি বাচ্চা সাপ এবং রাসেলস ভাইপার বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।